এই বছরেই গত মে মাসে আরও একটি ঘূর্ণিঝড়, ইয়াসের সাক্ষী থেকেছিল হাওড়া । এর প্রভাবে শহর এলাকায় গাছ , ল্যাম্পপোস্ট উপড়ে যাওয়ার মতো সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হলেও, গ্রামীণ এলাকায় বাঁধ ভেঙে বহু জায়গা প্লাবিত হয়েছিল বন্যার জলে। ফলে একই বছরে আরও একটি ঘুর্নিঝড় আসায় আতঙ্কে হাওড়ার গাদীয়ারা, শ্যামপুরের বাসিন্দারা। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের জেরে, শনিবার থেকে আগামী সোমবার পর্যন্ত হাওড়া, কলকাতা- সহ উপকূলবর্তী ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে রয়েছে দফায় দফায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা । পাশাপাশি জেলার উপর দিয়ে বইতে পারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াও ।
advertisement
যদিও, শহর এলাকায় ঘুর্নিঝড় মোকাবিলায় সম্পূর্ন প্রস্তুত হাওড়া পুরসভা, এমনটাই জানালেন হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর ভাইস চেয়ারম্যান শ্রী সৈকত চৌধুরী । তিনি জানান, "ঘুর্নিঝড় মোকাবিলায় সাধারণ মানুষের প্রয়োজনে. শনিবার সকাল থেকে দুটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করছে হাওড়া পুরসভা। পাশাপাশি আছড়ে পড়ার পর ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতির উপরেও নজর রাখবেন পুরসভার আধিকারিকরা। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রস্তুত থাকবে পুরসভার ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের কর্মীরাও"। এর সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে একটানা বৃষ্টিতে হাওড়া পুরসভার ৭ , ৮ , ৯ , ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের মতো ওয়ার্ডগুলির নীচু এলাকায় জল জমা আটকাতে পাম্পগুলিকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে, বলেও জানিয়েছেন তিনি ।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় হাওড়া পুরসভার কন্ট্রোল রুম নাম্বার -62922 32870 , 62922 32871
Santanu Chakraborty