তাঁকে নিয়ে জেলা ও গ্রামের মানুষ অপেক্ষায় ছিলেন ঘরের ছেলে ফিরবে কবে। অনিমেষের এই অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে তাঁরা কুর্নিশ জানান। তাঁর কাছে শুধু এ দেশকে ঘুরে দেখা নয়। দেশের বিভিন্ন স্থানের মানুষের সঙ্গে মেলামেশা তাদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়াও ছিল তাঁর সফরের মূল আকর্ষণ। দীর্ঘ সময় কাছ থেকে তাঁদের জীবনযাপন। তাদের মনুষত্ব তাদেরকে উপলব্ধি করাই ছিল অনিমেষের মূল লক্ষ্য।
advertisement
আরও পড়ুন : নেই চাকরির সুযোগ, উচ্চশিক্ষিত হয়েও রাস্তার পাশে জুতো সেলাই করেই চলে যুবকের সংসার
তিনি জানান, আমরা টিভির পর্দায় বা খবরে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষকে দেখে সেই স্থানের প্রতি যে ধারণা জন্মায় তা অনেক অংশেই ঠিক হয় না। আসলে এই অভিযানে না গেলে হয়ত সেটা জানাও হত না। যেখানে গিয়েছেন সেখানের মানুষের সঙ্গে আত্মিক যোগ খুঁজে পেয়েছে। তাঁর এই অভিযানে রয়েছে দেশে দ্রষ্টব্য স্থান থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম। কোথাও এতটুকু অস্বস্তিতে পড়তে হয়নি কখনও। এ বাংলার হাজার কিলোমিটার দূরেও যে সহানুভূতি ও ভালবাসা মিলেছে তা কখনও ভোলার নয়।
ওড়িশা, অন্ধপ্রদেশ, তেলেঙ্গনা, তামিলনাড়ু, পন্ডিচেরি, কেরল, কর্ণাটক, গোয়া, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, রাজস্থান, পাঞ্জাব, জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ-সহ সমস্ত রাজ্য ঘুরে বাড়ি ফেরা। অনিমেষ জানান, " আমার লক্ষ্য আমাদের এ দেশ মাতৃভূমি কতটা সুন্দর তা তুলে ধরা। কখনও ফাঁকা মাঠ, রাস্তার ধার, মন্দির, মসজিদ, পাহাড়, জঙ্গল বরফের মাঝে রাত কেটেছে। যেকোনও পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নেওয়ার মানসিকতা রেখেছি। তবে কোথাও সেভাবে অসুবিধায় পড়তে হয়নি। বিভিন্ন স্থানে ভাষার সমস্যাও সে ভাবে হয়নি। যেখানে যতটুকু সম্ভব সেই ভাষা শিখে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।চলার পথে বহু মানুষ বিশেষ করে শ্যামপুর থেকে অনেকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। প্রয়োজনে কখনও রাস্তার কাজ, রাজমিস্ত্রির জোগাড়ে বা রাতে হোটেলেও কাজ করে খরচ জুগিয়েছি।"
আরও পড়ুন : হাসপাতালই পরীক্ষাকেন্দ্র, সদ্যোজাত সন্তানকে পাশে নিয়ে মাধ্যমিক দিল ছাত্রী
দিন কয়েক আগে হাওড়ায় এসে পৌঁছন অনিমেষ। তার পর বুধবার উলুবেড়িয়া থেকে শ্যামপুর সাইকেল র্যালির করে ঘরে ফেরা। এদিন ঘরের ছেলেকে ফুলের মালা ও ভালবাসায় বুকে টেনে নেন শ্যামপুরের মানুষ।