রুদ্রনারায়ণ রায়, উত্তর ২৪ পরগনা: রাস্তার পাশে বসেই সকাল সন্ধ্যা এভাবেই চলে জীবনযুদ্ধ। পেশা জুতো পালিশ ও জুতো সেলাই। স্নাতক হয়েও মেলেনি চাকরি। তাই অভাবের সংসারে সকলের পেটে ভাত জোগাতে বেছে নিতে হয়েছে জুতো সেলাই-এর পেশাকে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটা ব্লকের ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ঝাউডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝাউডাঙ্গা দাসপাড়া গ্রামে গেলেই দেখা যাবে এই ছবি।
গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যেই প্রথম স্নাতক প্রসেনজিৎ দাস। ২০২০ সালে গোবরডাঙ্গা হিন্দু কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেছেন। অনেক চেষ্টা করেও মেলেনি কোন চাকরি। পরিবারের দায়িত্ব নিতে অবশেষে পাকা রাস্তার ধারে বসে জুতো সেলাই করছেন তিনি।
আরও পড়ুন : হাসপাতালই পরীক্ষাকেন্দ্র, সদ্যোজাত সন্তানকে কোলে নিয়ে মাধ্যমিক দিল কিশোরী
মানসিকভাবে ভীষণ কষ্ট হলেও, নির্দ্বিধায় দিনের পর দিন এই কাজ করে চলেছেন শিক্ষিত যুবক প্রসেনজিৎ। তবে শুধু জুতো সেলাই করেই যে পেট চলে যায় এমন নয়, পরিবারের ভার বহন করতে দিনমজুরিরও কাজ করতে হয় এই যুবককে। রাজনৈতিক পালাবদলের পর অনেকেই শাসক দলে ভিড়ে উপার্জনের রাস্তা খুঁজে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন : খিদে পেটে সঙ্গীত চর্চা, খিদে মিটতে সঙ্গীতই ভরসা! দুঃস্থ প্রবীণ শিল্পীকে আজও গান গেয়েই ঘরের ভাত জোটাতে হয়
প্রসেনজিতের বাবা কাঞ্চন দাস জানান, "অনেক কষ্ট করে ছেলেটা পড়াশোনা করিয়েছি। মাঠে দিনমজুরের কাজ করে পড়ার খরচ চালিয়েছি। একটা চাকরি পেলে হয়তো সংসারে একটু সচ্ছলতা আসত।" এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা প্রসেনজিতের এই লড়াইকে কুর্নিশ জানাচ্ছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cobbler, North 24 Parganas