West Medinipur News: খিদে পেটে সঙ্গীত চর্চা, খিদে মিটতে সঙ্গীতই ভরসা! দুঃস্থ প্রবীণ শিল্পীকে আজও গান গেয়েই ঘরের ভাত জোটাতে হয়
- Published by:Kaustav Bhowmick
- news18 bangla
Last Updated:
ছোট থেকে অভাব দেখে আসছেন। নিজস্ব চেষ্টায় গান, অসংখ্য বাদ্যযন্ত্র বাজানো শিখেছেন। তবুও শিল্পী রবি হেমব্রমকে স্বীকৃতি দেয়নি সরকার। ফলে বার্ধক্যে এসেও ঘুরে ঘুরে গান গেয়ে জোটাতে হচ্ছে পেটের ভাত
পশ্চিম মেদিনীপুর: সে অর্থে গানের তালিম নেওয়ার সুযোগ পাননি। অন্যকে দেখেই বাঁশি, মাদল, হারমোনিয়াম, বেহালা সহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজানো শিখেছেন। তবে বর্তমানে অত্যন্ত কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে দিন কাটছে খড়গপুরের শিল্পী রবি হেমব্রমের। নুন আনতে পান্তা ফুরনো অবস্থা। তবে হাল ছাড়তে নারাজ। অভাবের মধ্যেও শিল্পচর্চাকে জিইয়ে রেখেছেন তিনি।
খড়গপুর গ্রামীণের বাড় গোকুলপুরের বাসিন্দা রবি হেমব্রম। প্রত্যন্ত এলাকার নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে তাঁর জন্ম। ১৮ বছর বয়স থেকেই সঙ্গীতে মনোনিবেশ করেন। দিন যত গড়িয়েছে একলব্যের মত দূর থেকে শিখে রপ্ত করেছেন নানান বাদ্যযন্ত্র। বর্তমানে এই শিল্পীর বয়স প্রায় ষাট ছুঁই ছুঁই। এখনও দিব্যি গান-বাজনা করেন। এই করেই সংসার চালাচ্ছেন তিনি। বাড়িতে স্ত্রী, ছেলে, বৌমা, নাতিকে নিয়ে ভরা সংসার। কিন্তু পরিবারের আর্থিক অবস্থা মোটেও ভালো নয়। মূলত এই প্রবীণ শিল্পীর রোজগারেই চলে গোটা সংসার।
advertisement
advertisement
এত কষ্ট করলেও শিল্পী হিসেবে রবি হেমব্রম সরকারি স্বীকৃতি পাননি। ফলে শিল্পী ভাতার টাকা পান না। কোনরকমে নানান জায়গায় বাজনা বাজিয়ে নিজে গান গেয়ে দু-চার পয়সা রোজগার করেন। তাতে কি আর সংসার চলে?
বাড় গোকুলপুর এলাকায় ছোট্ট ছিটে বেড়ার বাড়িতে থাকেন রবি ও তাঁর পরিবার। সরকারি সাহায্যের জন্য বারবার আবেদন জানিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন এই প্রবীণ শিল্পী। তাঁর এই দূরাবস্থা দেখে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগছে, সরকার বা বড় বড় সংগঠন শুধুই কি বিখ্যাত মানুষদের মনে রাখবে? তবে কি ভাঙা ঘরে ঢুকবে না চাঁদের আলো? সামান্য কিছু সাহায্যই আজীবন মেহনত করে আসা শিল্পী রবি হেমব্রমের পায়ের তলার জমিটাকে শক্ত রাখতে পারে।
advertisement
রঞ্জন চন্দ
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
February 23, 2023 3:39 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পশ্চিম মেদিনীপুর/
West Medinipur News: খিদে পেটে সঙ্গীত চর্চা, খিদে মিটতে সঙ্গীতই ভরসা! দুঃস্থ প্রবীণ শিল্পীকে আজও গান গেয়েই ঘরের ভাত জোটাতে হয়