হাওড়ার এই গ্রাম থেকে অস্ত্র যায় কলকাতার বাজারগুলিতে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যের অন্যান্য জেলায় ৷ শুধু তাই নয় তা চলে যায় পাশের রাজ্য মণ্ডপের ঠাকুরের হাতেও। ছড়িয়ে পড়ে দেশে। এদিকে সারা বছর ধরে ওই গ্রামে দেবীর অস্ত্র তৈরি হলেও মূলত দুর্গা পুজো থেকে কালী পূজা পর্যন্ত এখানে চাপ থাকে কাজের। বাড়তি কজে উপার্জন বাড়ে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদেরও। এই ক’টা দিন স্বাচ্ছ্ন্দ্য় ফেরে তাদের পরিবারে।
advertisement
আরও পড়ুন : চলতি মাসের শেষেই আগমনীর অকালবোধন, সুদূর কানাডার ডারহ্যামে মা আসছেন
যদিও কারখানা এক মহিলা মালিকের কথায়, বর্তমান সময়ে বেড়েছে অস্ত্রের চাহিদা। কিন্তু সেই তুলনায় দাম না বাড়ায়, বাড়েনি তাদের উপার্জন। কারণ বেড়েছে চাহিদা, বেড়েছে কাঁচা মালের দাম, কিন্তু বাড়েনি উৎপাদিত পণ্যের দাম। এদিকে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত এক শ্রমিকের কথায় তিনি দীর্ঘ ১৫ বছর আছেন এই পেশার সঙ্গে। কিন্তু সেই তুলনায় বাড়েনি তাদের উপার্জন। সংসার চালাতে এই কাজের পাশাপাশি সারা বছর চাষ বাসার সঙ্গে যুক্ত থাকতে হয়।
আরও পড়ুন : ভাদ্রের এই ভ্যাপসা গরমে বেশি করে পাতিলেবু খান, পুজোয় কব্জি ডুবিয়ে ভুরিভোজের আগে সুস্থ থাকুন
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, নতুন করে এই শিল্পে কাজের জন্য আসছেনা কোন শ্রমিক। ফলে চাহিদা মেটাতে রাত জেগে পুজোর সময় কাজ করতে হচ্ছে। তবুও সময় মত শেষ করা যাচ্ছে না কাজ। এদিকে টিকে থাকা এবং এই কুটির শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য উদ্যোগী হোক সরকার। চায় এই শিল্পে যুক্ত শ্রমিকরা। পাশাপাশি শিল্পের আরও বৃদ্ধির জন্য সরকারি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তারা।





