মফিজুলের দুই কন্যা ও এক সন্তান এবং স্ত্রী-সহ পাঁচ সদস্যের পরিবার। রোদ, ঝড়-বৃষ্টিতে তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই একমাত্র এই বাড়ি। বহুবার আবাস যোজনার ঘর পেতে আবেদন জানানো হয়েছে, তবে আজও মেলেনি। বারবার পঞ্চায়েত অফিসের দ্বারস্থ হয়েও নিরাশ হতে হয়েছে তাকে, এমনটাই অভিযোগ মফিজুলের।
আরও পড়ুন: রাস্তার বেহাল দশা, পারাপার করতে হিমশিম খাচ্ছেন মানুষ!
advertisement
আমফান, ইয়াস এর মতো ঘূর্ণিঝড় বয়ে গিয়েছে, তার বাঁশের কাঠামোর টালির ছাউনির বাড়িতে রয়ে গেছে ক্ষত। মফিজুল জানায়, ‘‘আমফান ঝড়ে ভেঙে যায় বাড়ির ছাউনি। সরকারি ক্ষতিপূরণ পেতে আবেদন জানিয়েছিলাম মিলেনি ক্ষতিপূরণ, আবারও দ্বিতীয়বার আবেদন জানালাম আশা করেছিলাম হয়তো এবার ক্ষতিপূরণ পাবো, সেই টাকায় ভেঙে যাওয়া বাঁশের কাঠামোটা মেরামত করব। কিন্তু সেবারেও মিলল না কিছু। একটা ত্রিপল পর্যন্ত পাওয়া গেল না।’’
আরও পড়ুন:প্রতিশ্রুতিই সার! উলুবেড়িয়ার ফুলেশ্বর বাস স্টপের বেহাল দশা
এখন বৃষ্টি আসার আগেই মফিজুলকে দেখে নিতে হয় তার বাড়ির ভাঙা কাঠামোয় পলিথিন ঠিক রয়েছে কিনা! নিয়মিত বাড়ির টালির চালে উঠে পলিথিন বিছোতে হয় তাকে, না হলে যে ভেসে যায় সর্বস্ব, এভাবেই কাটছে দিন। বারবার পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে নিরাশ হতে হয়েছে, দুয়ারে সরকার শিবিরে আবেদন করেও আজও মেলেনি সুরাহা, পেশায় একজন দিনমজুর মফিজুলের কোনওরকমে চলে সংসার, এমতবস্থায় অসহায় ভাবে দিন কাটাচ্ছে মফিজুল শেখ ও তার পরিবার। কবে মিলবে সুরাহা সেই আশাতেই মুখ চেয়ে রয়েছে মফিজুল ও তার পরিবার।
Rakesh Maity