জেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় নীল পুজো। চিরায়ত সনাতনী বাঙালি মহিলারা পরিবারের মঙ্গল কামনায় নীরোগ সুস্থ জীবন প্রার্থনা করে নীলষষ্ঠী ব্রত পালন করে আসছেন যুগ যুগ ধরে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে জাঁকজমক করে নীলপুজো অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন : নীলষষ্ঠী উপলক্ষে মন্দিরে মন্দিরে ভক্তদের ভিড়
advertisement
হাওড়া জেলায় সিদ্ধেশ্বর বাণেশ্বর ফুলেশ্বর নারনার মতো বেশ কিছু শিব মন্দির রয়েছে। যেখানে এই গাজন উৎসবে ভক্ত সমাগম থাকে চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে নারনা ও বানেশ্বরে দেখা যায় অসংখ্য ভক্ত সমাগম।
গাজন পার্বণে তিন দিন ধরে চলে ঝাঁপ। এই ঝাঁপ দুই ধরনের হয়। বিভিন্ন ফল সামগ্রী দিয়ে পুষ্করিণী বা পুকুরে আর বাঁশের মাচার উপর উঠে ঝাঁপ। দেবতার মন্দিরের সামনে এই বাঁশের মাচার উপর থেকে ঝাঁপ দেওয়া হয়। মাচার উচ্চতা ২০-২৫ বা তারও বেশি থাকে। সেই মাচার উপর উঠে শিব নীল মনসা ধর্ম পঞ্চানন্দ ঠাকুরের নামে ফল সামগ্রী শূন্যে ছুঁড়ে দিয়ে সন্ন্যাসী ঝাঁপ দেন। সেই সময় নীচে থাকেন অন্যান্য ভক্ত। বাঁশের মাচা থেকে নীচে পড়ার মুহূর্তে লুফে নেন সন্ন্যাসীকে। এর সঙ্গে দেখা যায় বাণ ফোঁড়া ও বঁটির উপর ঝাঁপ। এই রীতি বর্তমান সময়েও ব্যাপক হারে দেখা যায় জেলার বিভিন্ন প্রান্তে।