হাওড়ার রাউন্ড ট্যাঙ্ক লেনের বাসিন্দা বিনোদ কেডিয়া। তিনি দেখেন হঠাৎই মোবাইলে তার হোয়াটস অ্যাপ খুলছে না। বিষয়টি তিনি জানান তার মেয়ে মেঘা কেডিয়াকে। কলেজ ছাত্রী মেঘা বাবার মোবাইল নিয়ে পুনরায় অ্যাপ ডাউনলোড করে অ্যাপটি চালু করার চেষ্টা করেন। তখন তিনি অনলাইনে হোয়াটস অ্যাপ কাস্টমার কেয়ার নম্বর বের করেন। সেই নম্বরে ফোন করতে তাকে জানায় হোয়াটস অ্যাপ চালু করতে গেলে দশ টাকা পেমেন্ট করতে হবে। দশ টাকা মাত্র, তাই হয়ত কোনও সংকোচ বোধ না করেই শর্তে রাজি হয়েছিলেন তিনি। তখন তাকে ওই নম্বর থেকে বলা হয় এনিডেস্ক অ্যাপ ডাউনলোড করতে৷ সেই অ্যাপ ডাউনলোড করে সেখান থেকে পেমেন্ট করতে হবে। সেই মতো, পেমেন্ট করার জন্য ওই অ্যাপ ডাউনলোড করেন মেঘা। অ্যাপ ডাউনলোড করা মাত্র, তার মোবাইলের ডেটা চলে যায় প্রতারকদের হাতে।
advertisement
আরও পড়ুন North 24 Parganas News: বন্ধ ঘরে জীবন্ত দগ্ধ শয্যাশায়ী রোগী!
আরও পড়ুন Siliguri News: বাড়ি ফাঁকা রেখে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে গিয়েছিল পরিবার ,বাড়ি ফিরে যা দেখলেন
যে নম্বরটি অনলাইন থেকে ডাউনলোড করছিল মেঘা, আসলে সেই নম্বরটি প্রতারকদের, মেঘা অ্যাকাউন্ট দিয়ে পেমেন্ট করার আগেই প্রতারকরা দশ টাকার বদলে চুয়াল্লিশ হাজার টাকা বসিয়ে নেয়। আর পেমেন্ট বটন প্রেস করতেই অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও টাকা। এরপর ওই ব্যবসায়ী হাওড়া সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হন।সেখানে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞ সম্রাট মুখোপাধ্যায় জানান হোয়াটস আপের কোনও কাস্টমার কেয়ার নম্বর নেই। এধরনের নম্বর থাকলে তা ভুয়ো। এটা অনেকেই জানেন না তাই না জেনেই প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেন। অচেনা কেউ ফোন করে কোনও আপ ডাউনলোড করতে বললে তা করা উচিত নয়। এসব বিষয়ে সব সময় সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
রাকেশ মাইতি