শিকার উৎসব উপলক্ষে বহু আদিবাসী এই সময় হাওড়ায় এসে হাজির হন। কিন্তু নির্বিচারে আইন ভঙ্গ করে প্রাণী হত্যা ঠেকাতে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে বনবিভাগ। স্থানীয় পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলির সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা করা হয়। বনকর্মীদের পাশাপাশি পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলির স্বেচ্ছাসেবীরাও বন্যপ্রাণী হত্যা ঠেকাতে নজরদারি শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন: দেরিতে আসার অভিযোগে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে তালাবন্ধ করে রাখল গ্রামবাসীরা
advertisement
ইতিমধ্যেই হাওড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে নাকাচেকিং ও পেট্রোলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফেরিঘাট, রেলস্টেশন, ইটভাটা সর্বত্র নজরদারি চালানো হচ্ছে। এমনকি গ্রামীণ এলাকায় যেখানে বানজারা, বেদে প্রভৃতি আদিবাসী সম্প্রদায় তাঁবু তৈরি করে বসবাস করছে সেখানেও কড়া নজর রাখা হয়েছে।
বন্যপ্রাণী হত্যা ঠেকাতে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে লিফলেট বিলি করা হচ্ছে। সোমবার একটি আহত গন্ধগোকুলকে উদ্ধার করা হয়। মুন্সিরহাট স্টেশনের সামনে আদিবাসী তাঁবুর কাছ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। দ্রুত ঘটনাস্থল আসেন ডিএফও। সঙ্গে আসেন রেঞ্জার, বিট অফিসার সহ বন বিভাগের অন্যান্য কর্তারা। পাশাপাশি কোন আদিবাসী দলের সন্দেহজনক গতিবিধির নজরে পড়লেই তাদেরকে বুঝিয়ে জেলার সীমান্ত পার করে দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৭০-৮০ জন আদিবাসীকে এইভাবে অন্য জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বনবিভাগের পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানানো হয়েছে, শিকার উৎসব আদিবাসীদের প্রাচীন রীতি, তাকে সম্মান জানায় বন বিভাগ। কিন্তু উৎসবের নামে কোনমতেই নির্বিচারে বন্যপ্রাণ হত্যা করা চলবে না। দরকারে আইন মেনে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।
রাকেশ মাইতি