দেবী মূর্তির বৈচিত্র্যই অন্যান্য বনেদি বাড়ির পুজো থেকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র করে হাওড়ার থানা মাকুয়া পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পোদরার সরকার বাড়ির দুর্গাপুজোকে। ১৪ পুরুষ ধরে প্রায় ২০০ বছরের বেশি পুরনো এই পুজো। যদিও সঠিক প্রতিষ্ঠা কাল বা ইতিহাস পরিবারের সদস্যদের কাছে অজানা। দেবী দুর্গা এখানে স্বামী দেবাদিদেব মহাদেবের পাশেই বসেন। অধিষ্ঠান করেন সিংহের বদলে নন্দীর উপর। দশভূজার স্থানে দেবীর দুটি হাত, যা শান্তিবার্তা বহন করে। সরকার পরিবারে সাংসারিক সমৃদ্ধির প্রতীক বলেই গণ্য। একইভাবে এক চালার মধ্যেই দেবাদিদেব মহাদেবের সঙ্গে লক্ষী, গণেশ, সরস্বতী ও কার্তিক সপরিবারে রয়েছেন। এই রূপেই ধারাবাহিকভাবে পুজো হয়ে আসছে দেবী দুর্গার।
advertisement
সরকার পরিবারের সদস্যদের কথায়, তাদের বাড়ির কন্যা দেবী দুর্গা। পুজোর কয়টি দিন নিজের স্বামী, কন্যা ও পুত্রদের সঙ্গে করে নিজের বাপের বাড়িতে ফেরেন। এছাড়াও সরকার বাড়ির পুজো পদ্ধতিতেও রয়েছে একাধিক স্বকীয় নিয়ম। মূর্তির বৈচিত্র যেমন রয়েছে, তেমনি আর পাঁচটা বনেদি বাড়ির মত নেই বলি প্রথা। সরকার বাড়ির প্রতিমার প্রধান কাঠামো বিসর্জন হয় না। প্রতিমা ভাষণের আগে মূল কাঠামো খুলে নেওয়া হয় প্রতি বছর। জন্মাষ্টমী থেকে পুরানো কাঠামোতে নতুন বাঁশ লাগিয়ে প্রতিমা গড়ার কাজ শুরু হয়। সরকার পরিবারের সদস্য অসিত সরকার জানান, দেবী এখানে শান্তির বার্তা নিয়ে আসেন। সেই দিক থেকেই বলি পদ্ধতি এই পুজোর আচারে নেই।
রাকেশ মাইতি