কয়েক বছর আগেও জেলায় ঠাকুর দেখা বলতে ষষ্ঠী বা সপ্তমী। কিন্তু বর্তমানে তার আগেই মণ্ডপমুখী জেলাবাসী। দর্শকদের রুচি বা আগ্রহের দিকে তাকিয়ে বিভিন্ন মণ্ডপ সজ্জা। কাজ কোথাও সম্পন্ন হয়েছে কোথাও বাস শেষ লগ্নে বাকি কয়েক ঘণ্টা। এ বার শুরু স্থান দখল এবং মানুষের মন জয় করার লড়াই। কার দখলে থাকবে জেলার বা ব্লক সেরা সম্মান। পুজোর ক’টা দিন কোনও মণ্ডপ বা প্রতিমা জেলাবাসীর সর্বাধিক চর্চায় থাকবে, তারই প্রস্তুতি জেলার পুজো মণ্ডপ গুলিতে।
advertisement
আরও পড়ুন: সাজাপ্রাপ্তদের হাতে তৈরি দুর্গা প্রতিমা! সংশোধনাগারে উৎসবের প্রস্তুতি তুঙ্গে
আরও পড়ুন: নদীর কোলে সবুজ চরে সময় কাটাতে চান, পুজোর ছুটিতে ঢুঁ মারতে পারেন বেনাপুর চরে
থিম পুজোয় গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এ বার রানিহাটি সার্বজনীন দুর্গোৎসবের মণ্ডপ ভাবনা লোকশিল্প। এ বাংলার শিল্প-সংস্কৃতি দর্শকের সামনে তুলে ধরতেই মণ্ডপ সজ্জা। মণ্ডপ সাজাতে ব্যবহার হয়েছে তালপাতার পাখা, সুতোর কাজ করা আসন, মাটির হাড়ি, কটোরা, গামছা-সহ নানা পরিবেশ বান্ধব শিল্প অলংকার। মন্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিমা।
এ প্রসঙ্গে পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য ডা: প্রলয় মান্না জানান, দর্শকদের পছন্দের কথা ভেবে মণ্ডপ সাজের চিন্তাভাবনা। গতবারের তুলনায় এ বার পুজোর বাজেট কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে। প্রায় ১৫ লক্ষ টাকায় এসে পৌঁছেছে। তিনি আরও জানান, লোক শিল্পের সাজে মণ্ডপ দর্শকদের ভীষণভাবে মন জয় করবে বলেই আশাবাদী। বাংলার হস্তশিল্প জগৎখ্যাত। বাঙালির চিন্তনে মননে রয়েছে শিল্পের ছোঁয়া। সেই দিক থেকে বলা চলে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। শিল্পী ও শিল্পের উৎসব।
রাকেশ মাইতি