মরশুমের শুরুতে পাইকারি ব্যবসায়ীরা আলু কিনছিলেন রফতানি করবেন বলে। এতে আশার আলো দেখছিলেন কৃষকরা। কারণ আলু যত বেশি রফতানি হবে তত ভালো দাম পাওয়া যাবে। কিন্তু ২-৪ দিন রফতানি হয়েই তা বন্ধ হয়ে যায়। নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। এই পরিস্থিতিতে কয়েকশো আলু চাষি মাঠ থেকে আলু তুলে জমিতেই মজুত রেখেছেন। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না।
advertisement
আরও পড়ুন: নাবালিকা ধর্ষণে ২০ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ পকসো আদালতের
অনেক কৃষকই ঋণ নিয়ে আলু চাষ করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই দাম পড়ে যাওয়ায় ঋণের টাকা কী করে শোধ করবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না। এই অবস্থায় হিমঘরে আলু মজুত করবেন সেই টাকাও নেই কৃষকদের কাছে। কারণ স্টোরে রাখতে গেলে আলুর বস্তা পিছু ৩০ থেকে ৪০ টাকা খরচ পড়ছে। এই টাকা খরচ করে হিমঘরে আলু রাখা বহু কৃষকের পক্ষেই অসম্ভব।
এই বিষয়ে বহু কৃষক জানান, এই মুহূর্তে তাঁরা ভালো দাম পাবেন না বুঝে গিয়েছেন। ঠিক দাম পেতে হলে হিমঘরে আলু রাখতে হবে। কিন্তু বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে হিমঘরে টাকা খরচ করে আলু রাখার মত অর্থ নেই বেশিরভাগ কৃষকের। তাঁদের মতে, আলুর রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাজারে যোগান বেড়ে গিয়ে দাম কমে গেছে। বর্তমানে জমি থেকে সব আলু উঠছে ফলে দাম আরও কমবে।এই প্রসঙ্গে আলু চাষি যামিনী রঞ্জন মালিক জানান, চার বিঘা জমিতে আলু চাষ করতে খরচ হয়েছিল প্রায় ৮০-৯০ হাজার টাকা। কিন্তু বর্তমানে সেই আলু তাঁরা পাইকারদের বড়জোর চার থেকে পাঁচ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দাম পাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে না মেটানো যাবে ঋণ না তাঁদের কাছে ভবিষ্যতের লাভের মুখ দেখার জন্য হিমঘরে আলু রাখার টাকা আছে। সব মিলিয়ে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে দাঁড়িয়ে আলু চাষিরা। তাঁরা এখন বাঁচার জন্য সরকারের মুখের দিকে তাকিয়ে।
রাকেশ মাইতি