রিয়ার মা শম্পা সাহা জানান,'ছোট থেকে অর্থাৎ স্কুল জীবন থেকে খেলার প্রতি দারুন মনোযোগী। মনোযোগ এবং কঠোর অনুশীলনে এই সফলতা। কিন্তু পাওয়ার লিকটিং প্রশিক্ষণ নিয়ে আমরা চিন্তিত ছিলাম। কিন্তু ও সব বাধাকে পেরিয়ে গিয়েছে।' রিয়ার বাবা অলকেশ সাহা জানান, ওর প্রতি বিশ্বাস ছিল আমাদের। পাওয়ার লিফটিং প্রশিক্ষণের ইচ্ছা প্রকাশ করে। সে সময় আমরা দ্বিধা বোধ করি। কারণ পরিবার থেকে সময় দেওয়াটা একেবারেই অসম্ভব ছিল। এত দূর পৌঁছনো ওর বন্ধু বাসুদেব এবং প্রশিক্ষক জয়ন্ত ভট্টাচার্য এবং রেখা মাল ভট্টাচার্যের সহযোগিতায়। বিশেষ করে বাসুদেব হালদার সর্বদা ওর সঙ্গ দিয়েছে মনে ভরসা যুগিয়েছে।
advertisement
এছাড়া রিয়ার বাবা জানান, '২০১৯ সালে বাসুদেবের সহযোগিতাতেই প্রশিক্ষণ শুরু করেছিল রিয়া। সেই থেকে এ পর্যন্ত সমান ভাবে সাপোর্ট করে চলেছে। জাতীয় স্তরে মহারাষ্ট্রে সোনা জয়। পরে এবার তৃতীয় স্থান অধিকার জাতীয় স্তরে। সেই সঙ্গে এবার মহিলা ৬৯ কেজি বিভাগের সর্বোচ্চ ভারউত্তলন করে ন্যাশনাল রেকর্ড রিয়ার। কিন্তু ব্যয় সাপেক্ষ এই খেলা চালিয়ে যাওয়াটা বেশ সমস্যার। সরকারি সহযোগিতা পেলে ও আরও এগিয়ে যেতে পারবে সহজে। আশাকরি ওর দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন পূরণ হবে।'
আরও পড়ুনঃ বাবা-মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা, এমন কাজ করল ছেলে, ধন্য ধন্য করছে সকলে
আরও পড়ুনঃ ভারতের কোন টাকায় ছাপা নেই আরবিআই, নেই গভর্নরের স্বাক্ষর, উত্তর অজানা ৯৯ শতাংশের
বন্ধু বাসুদেব হালদার জানান,'খেলার সূত্রেই কয়েক বছর আগে পরিচয়। একসঙ্গে প্র্যাকটিস করতাম। একদিন রিয়া পাওয়ার লিফটিং করার ইচ্ছে প্রকাশ করে। যথাসম্ভব খেলতে ওকে সাপোর্ট করি। কিন্তু সমস্যার বিষয় হলো অনেকেই মহিলা হওয়া এর সমালোচনা করেছিল। আশ্চর্য বিষয় সব কিছু উপেক্ষা করে আরও খেলার প্রতি মনোযোগ বাড়ে রিয়ার। তারপর থেকেই একের পর এক সফলতা।' সদ্য সমাপ্ত জাতীয় পাওয়ার লিফটিং প্রতিযোগিতায় পদক জয় করে ঘরে ফিরেছে। রিয়া জানান,'খেলার জন্য দিনের পর দিন পরিবার ছেড়ে দূরে থেকেছি। খেলার মধ্য দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। খেলাধুলার প্রতি শিশুকাল থেকেই মনোযোগ। সফলতা স্কুল স্পোর্টস থেকে শুরু। পাশাপাশি হ্যান্ডবল খেলায় জাতীয় স্তরে প্রতিনিধিত্ব করেছি। এবার তাঁর লক্ষ্য আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছানো। কমনওয়েলথ গেমসে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা।;
রাকেশ মাইতি