বর্তমানে দেখা যায় ঘুড়ি ওড়াতে ব্যবহৃত হচ্ছে ব্যাপক হাড়ে চিনা মাঞ্জা নাইলন সুতো। সেই সুতোই যে মারাত্মক বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সাইকেল বা বাইক আরোহীদের। হাওড়া জেলা জুড়ে কয়েক বছরে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে মাঞ্জা সুতোয় কখনো কারোর চোখ মুখ বা গলা ক্ষতবিক্ষত হয়েছে সুতোয়। প্রশাসন ও এই বিষয়ে তৎপর, নাইলন সুতো ব্যবহার রুখতে দোকানে দোকানে অভিযান চালিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ গরু পাচারের লাভের অঙ্ক কত! নগদ টাকা সরল কোথায়! হতবাক দুঁদে গোয়েন্দারা
আরও পড়ুনঃ 'বিজেপি ক্ষমতায় এলে কেন্দ্রীয় হারে DA সরকারি কর্মীদের', বড় ঘোষণা সুকান্ত মজুমদারের
তবে তা উপেক্ষা করেই আবারও দেখা যাচ্ছে চিনা নাইলন সুতোর রমরমা। দেখা যাচ্ছে ঘুড়ি ওড়াতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হচ্ছে নাইলন সুতো। তাতেই বিপদ ডেকে আনছে মানুষ থেকে পাখির। হাওড়া শুভআরা মল্লিকবাগানের বাসিন্দা ঝন্টু দাস ও তার দুই বন্ধু মিলে রানিহাটি থেকে উলুবেরিয়া যাওয়ার পথে জাতীয় সড়কে পাঁচলা পানিয়ার সংলগ্ন রাস্তার উপর গলায় চিনা মাঞ্জা সুতোর প্যাচ লাগে, তখন বাইকের গতি প্রায় ৪০-৫০ কিলোমিটার, ঝন্টু হঠাৎই মাঝ রাস্তায় বাইক থামানোর চেষ্টা করে।
যদিও তা বিপদজনক পিছন থেকে গাড়ি এসে দুর্ঘটনা ঘটতে পারত, বাইক থামিয়ে দেখে তার গলায় লম্বা ক্ষত ঝরঝর করে রক্ত ঝরছে, অন্য এক বন্ধুর ঠোঁটের নিচে সামান্য ক্ষত। সেখান থেকে দ্রুত দুই বন্ধু ঝন্টুকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। ঝন্টু জানায়, সুতোটি চোখে পড়েনি হঠাৎ করে গলায় কী একটা লাগাল, লাগা মাত্রই জ্বালা অনুভব হল। তারপর কেটে যায়।
রাকেশ মাইতি