বোঘরোল নিয়ে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে একের পর এক পথ দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু। এই ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। জাতীয় বা রাজ্য সড়কের উপর দ্রুতগতির গাড়ি বাঘরোল দেখেও থামছে না। উল্টে তাদের ধাক্কা মেরে চলে যাচ্ছে। আর এই ছোটখাটো প্রাণীটির ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর হচ্ছে। এই বিষয়ে বন দফতরের পক্ষ থেকে সচেতনতার বার্তাও দিয়ে প্রচার চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত বিশেষ ফল হয়নি। বর্তমানে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও এই বিষয়ে সক্রিয় হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: গোলাপ গ্রাম, যেখানে খালে-বিলে ভালোবাসা ফুটে থাকে
পরিবেশপ্রেমীদের মতে বন দফতর বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাইকিং, লিফলেট বিলি করে বাঘরোল সম্বন্ধে সচেতনতার বার্তা দেওয়া ভাল উদ্যোগ। কিন্তু এতে বিশেষ ফল হবে না যতক্ষণ না মানুষ পরিপূর্ণভাবে সচেতন হচ্ছে। আগের মত লোকালয়ে এলে বাঘরোলকে পিটিয়ে মারার ঘটনা হয়ত কমেছে। কিন্তু চালকরা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আরও বেশি সতর্ক না হলে এই সমস্যার সুরাহা সম্ভব নয়।
রাজ্য প্রাণী বাঘরোল বা অন্যান্য বন্যপ্রাণ রক্ষা করতে আরও কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ দরকার বলে মনে করা হচ্ছে। যেমন রাস্তার যে স্থান দিয়ে বন্যপ্রাণী যাতায়াত করে সেখানে সাইন বোর্ড লাগানো। আবার যে সব এলাকায় বাঘরোল থাকে, সেই সমস্ত এলাকা চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন। রাস্তার উপর স্পিড ব্রেকারও দরকার। উল্লেখ, গত এক বছরে হাওড়া জেলায় পথ দুর্ঘটনায় অসংখ্য বাঘরোলের মৃত্যুর ঘটনা। এই ঘটনা রুখতে প্রশাসন সক্রিয়। তবে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশাসনের আরও সক্রিয়তা বৃদ্ধির দাবি তোলা হয়েছে।
রাকেশ মাইতি