স্কুল কলেজ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে ক্লাব গুলোতেও সরস্বতী পুজোর আয়োজন হয়ে থাকে। দুর্গাপুজো বা কালীপুজোর মতো বিশাল বড় মণ্ডপ বা আলোকসজ্জা হয় না। তবে পুজো ও পুজো প্রস্তুতিতে থাকে চমক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের হাতে তৈরি হয় পুজো মণ্ডপ থেকে সাজসজ্জা। ক্লাব প্রতিষ্ঠান বা অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও নিজেদের হাতেই তৈরি হতে দেখা যায় বেশিরভাগ মণ্ডপ। সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে পাড়ায় ক্লাবের অনুষ্ঠানের আয়োজনও হয়ে থাকে।
advertisement
পুজোর দেড় থেকে দুই মাস আগে থেকে প্রতিমার বরাত দিয়ে শুরু হয় পুজো প্রস্তুতি। এক সপ্তাহ বা পনেরো দিন আগে থেকে শুরু হয় মণ্ডপ সজ্জার কাজ। পুজোর দিন সকাল থেকেই শুরু হয় দেবীর পুজো ও অঞ্জলি পর্ব। পুজোর আগের দিন বা এক দুদিন আগে মণ্ডপে আসে প্রতিমা। বাঙলার ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপুজোর মতো সরস্বতী পুজোর রেওয়াজ বেড়েছে। তাতে প্রতিমা শিল্পালয়ে কাজের চাপ বা বরাত থাকে ভালই। পুজোর দেড় দুই মাস আগে থেকে ব্যস্ততা দেখা যায় প্রতিমা তৈরিতে। যতগুলি ঠাকুরের বরাত থাকে তার থেকে বেশি সংখ্যার প্রতিমা তৈরি করে শিল্পীরা।
আরও পড়ুন : পড়ুয়াদের সুরক্ষায় বিশেষ নজর! স্কুলবাসগুলির ফিটনেস সার্টিফিকেট আছে তো! চিঠি পাঠাল জেলা পুলিশ
পুজোর আগের দিনকয়ে আগে থেকে ক্রেতা এসে সেই সমস্ত প্রতিমা কিনে নিয়ে যান। তাতেই শিল্পালয় গুলিতে দেখা যেত একরোখা ধাঁচের অসংখ্য প্রতিমা। তবে এবার এ ছবির বদল, হাওড়া আমতার একটি শিল্পালয় বিভিন্ন মডেলের সরস্বতী প্রতিমা তৈরি হচ্ছে। যা চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মতোই। এবার ৬০ থেকে ৬৫ টি প্রতিমা তৈরির বরাত রয়েছে। আর এই আধুনিক কাজের সুবাদে বেশ চাপ রয়েছে এই শিল্পালয়ে। একটি প্রতিমা অন্যটির থেকে সম্পূর্ণ আলাদা প্রায়।
আরও পড়ুন : ভোর তিনটের সময় পৌঁছন আনাজ বেচতে, ১০২ বছর বয়সেও তাঁর ভাণ্ডার নিয়ে অমলিন লক্ষ্মীবালা
সাধারণত বাঙালির শ্রেষ্ঠ পুজো দুর্গা পুজোতে প্রতিমায় যে মডেল বা কারুকার্যর ছোঁয়া থাকে। সেই ছোঁয়া এবার সরস্বতী প্রতিমাতে। ওই শিল্পালয়ে শিল্পীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁর শিল্পালয় ক্যাটালগের অনুকরণেই তৈরি হচ্ছে একের পর এক প্রতিমা। তার ফলেই বছর বছর বাড়ছে কাজের চাহিদা। কাজের সুবাদেই দুর্গাপুজোতে যেমন কলকাতা থেকে ঠাকুর তৈরির বরাত পান, তেমনই এই সরস্বতী পুজোতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বরাত আসে।