আরও পড়ুন: ডেঙ্গি ঠেকাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ব্লিচিং পাউডার ও চুন ছড়াচ্ছেন মুদি দোকানী
একসময় এই মারণব্যাধি জলাতঙ্ক খুবই ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল। মূলত রেবিস ভাইরাস থেকে এই রোগ হয়ে থাকে, যা বন্যপ্রাণী থেকে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। ১৮৮৫ সালে লুই পাস্তুর প্রথম এই ভাইরাসের টিকা আবিষ্কার করেন। যা পরবর্তীতে এক যুগান্তকারী ওষুধ হিসাবে গণ্য করা হয়। ২০০৭ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই দিনটিকে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস বলে ঘোষণা করে। এই বছর ১৭ তম জলাতঙ্ক দিবস উপলক্ষে চুঁচুড়ায় পথ পুকুর, বিড়াল ও অন্যান্য প্রাণীদের জলাতঙ্কের টিকা দেওয়া হয়।
advertisement
বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উপলক্ষে এই দিন চুঁচুড়ার পশু হাসপাতালে সকাল থেকেই ভিড় দেখা যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের। কেউ সঙ্গে করে এনে ছিলেন তাঁদের কুকুরকে, কেউ বা নিয়ে এসেছিলেন বিড়াল। চিকিৎসকরা গোটা দিনব্যাপী প্রায় ২০০ টি পথ পুকুর ও বিড়ালকে অ্যান্টি রেবিস ভ্যাকসিনেশন দেন। প্রগ্রেসিভ ভেটেরিনারি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সকাল থেকেই বিভিন্ন পশু প্রাণীদের স্বাস্থ্য দেখতে ব্যস্ত ছিলেন পশু চিকিৎসক জয়জিত মিত্র সহ একাধিক অন্যান্যরা।
এই বিষয়ে প্রগ্রেসিভ ভেটেরিনারি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য প্রিয়ব্রত চক্রবর্তী জানান, এই দিনের বিশেষ উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষকে জলাতঙ্ক রোগ নিয়ে সচেতন করা। তিনি আরও বলেন, প্রতি বছর গোটা বিশ্বে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ মারা যান এই রোগে। একবার জলাতঙ্ক হয়ে গেলে তখন চিকিৎসকদের আর কিছু করার থাকে না। তবে আগে থেকে এর প্রতিকার করা যেতে পারে। বিশেষ করে পথ কুকুর বা বেড়ালদের টিকাকরণের মাধ্যমে এই ভয়ঙ্কর ব্যাধি থেকে মানুষ নিরাপদ থাকতে পারে বলে তিনি জানান।
রাহী হালদার