একটি এগারো বছরের কিশোর কার্ল ব্রাউয়ার এর কর্নিয়া প্রতিস্থাপিত হয় ৪৫ বছরের শ্রমিক অলওইস গ্লোগার এর চোখে। একজনের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবার এই ঘটনার স্মরণে প্রতি বছর পালিত হয় বিশ্ব কর্নিয়া দিবস। শ্রীরামপুর চক্ষু সেবা কেন্দ্রের সদস্য সিদাম সাহা বলেন, আমি এইদিনটা কাটাই কিছু দৃষ্টিহীন ভাই বোনদের সঙ্গে। হয়তো আমি তাদের দৃষ্টি ফিরিয়ে দিতে পারব না কিন্তু চেষ্টা করি তাদের মনে একটু খুশির আলো জ্বালিয়ে দেওয়ার। তাই চন্দননগর কে এম ডি এ পার্কে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সামনে ফলক লাগানো রাস্তা তৈরির, কিন্তু রাস্তা কই!
সারা দিন হই হুল্লোড় করে কাটল শ'দেড়েক দৃষ্টিহীনকে নিয়ে। উত্তরপাড়া লুই ব্রেল ব্লাইন্ড স্কুল ও রিষড়ার ভয়েস অফ ওয়ার্ল্ড আবাসিক স্কুলের দের'শ দৃষ্টিহীন পড়ুয়াদের নিয়ে কিছুটা সময় কাটিয়ে যান চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী।উপস্থিত ছিলেন চক্ষু চিকিৎসক সুশোভন অধিকারী। দুপুরে ডাল, ভাত, বেগুনি, ফুলকপি, মুরগির মাংস, চাটনি, পাঁপড়, আইসক্রিমের আয়োজন ছিল সবার জন্য।
আরও পড়ুনঃ দোকানের দেওয়ালে গর্ত করে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার মোবাইল চুরি!
সিদাম সাহা বলেন গত দশ বছর ধরে বিশ্ব কর্নিয়া দিবস পালন করি এভাবেই। আজ আবার মায়ের মৃত্যুদিন। শ্রীরামপুর চক্ষু সেবা কেন্দ্রের একজন সক্রিয় কর্মী হিসাবে এখনও পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ হাজার কর্নিয়া সংগ্রহ করেছি। এর ফলে অনেক দৃষ্টিহীন তাদের দৃষ্টি শক্তি ফিরে পেয়েছেন। যারা এখনও পাননি তাদের জন্য কাজ করে চলেছি। ডাঃ অধিকারী বলেন, এখনো অনেক মানুষের অজানা রয়েছে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন বিষয়টি সম্পর্কে।এধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষ জানতে পারবে। আমরা চাই মানুষ সচেতন হোক।কর্নিয়া দান করতে এগিয়ে আসুক সবাই।
Rahi Haldar