হগলির বেলুন ধামাসিন গ্রাম পঞ্চায়েতের মন্দারন এলাকার ১৯৬ নং বুথে বামফ্রন্টের তরফে প্রার্থী করা হয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লক মনোনীত বন্দনা মণ্ডলকে। কিন্ত তাঁকে প্রার্থী হিসেবে মানতে নারাজ সিপিআইএম কর্মী সমর্থকেরা। বন্দনার জায়গায় নির্দল প্রার্থী ঝুমা মৈত্র ধারাকে সমর্থন করছে সিপিআইএম কর্মীরা। বামফ্রন্টের পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ প্রার্থীর সঙ্গে একই দেওয়ালে প্রচার চালানো হচ্ছে নির্দল প্রার্থী ঝুমার। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
advertisement
আরও পড়ুন: তৃণমূল এখানে ভোট পাবে না বলতেই হামলা! রানিনগরে ফের ভয়ঙ্কর কাণ্ড
ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা বনমালী দাস বলেন, ‘ওটি তাদের রিজার্ভ সিট। সিপিআইএমের সঙ্গে ফরওয়ার্ড ব্লকের একটা জোট রয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে ওই বুথে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী দিচ্ছে। কিন্তু প্রত্যেক বার সিপিআইএম থেকে একটা করে গোজ প্রার্থী দেওয়ার হচ্ছে। এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থীকে হারানো হচ্ছে। বিষয়টি সিপিআইএমের উচ্চ নেতৃত্বকে জানালে তারা বলছেন যারা এই ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা সিপিআইএমের কেউ নয়।’ তাঁর দাবি, নির্দল প্রার্থীকে সিপিআইএম প্রার্থী বলে প্রচার চালাচ্ছে। এই ঘটনা যাতে বন্ধ হয় সেই আবেদন তিনি করছেন।
আরও পড়ুন: ভোটের প্রচারে বামেরা এবার এমন কাণ্ড ঘটাল, দেখলে ভিরমি খাবেন! মুহূর্তে ভাইরাল
যদিও একথা সিপিআইএমের তরফে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের দাবি, প্রার্থী পছন্দ হয়নি তাই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সিপিআইএম নেতা পার্থ ঘোষ বলেন, সারা বছর তাঁরা সিপিআইএমের তরফে সংগঠন করেন। সারা বছর সাধারণ মানুষের পাশে তাঁরাই থাকেন। কিন্তু ভোট এলে দেখা যায় এই বুথে ফরওয়ার্ড ব্লকের তরফে সিংহ চিহ্নে প্রার্থী দেওয়া হয়। যেহেতু বামফ্রন্ট একটা সংগঠিত দল। তাই ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী দিলে সিপিআইএম প্রার্থী দিতে পারে না। তাই সিপিআইএম সমর্থিত নির্দল প্রার্থী দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূলের তরফে পাণ্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সহ সভাপতি সঞ্জয় ঘোষের পাল্টা কটাক্ষ, ‘বামফ্রন্টের শরিকি বিবাদ মানে “স্বামী স্ত্রীর ঝামেলা”। ওদের দুই শরিক দলের মধ্যে জোট একটা ছিল, এখন আর নেই। তবে এখন পাণ্ডুয়ায় ফরওয়ার্ড ব্লক বা সিপিআইএম বলে কিছুই নেই।’
রাহী হালদার