সাপ ধরতে গেলে তাদের দুজনেরই পায়ে কামড় বসায় ওই সাপটি। তারপরেরাগের বশে সাপের গলা টিপে হত্যা করেন ওই ব্যক্তি। অতঃপর সাপটিকে ধরেই চিকিৎসার জন্য পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে উপস্থিত হন ওই দুই ব্যক্তি। সাপের কামড়ে আক্রান্ত ব্যক্তি নির্মল কোরা জানান, প্রতিবেশীর বাড়িতে মিটার ঘরের মধ্যে সাপটি ঢুকে পড়ে। তাদেরকে সাহায্য করতে তিনি ও তার সঙ্গী সাপটিকে তাড়াতে আসেন। সাপটিকে তাড়ানোর সময় নির্মল ও প্রদীপের পায়ে কামড় বসায়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ হাইকোর্টের নির্দেশে মজিয়ে দেওয়া পুকুর খনন শুরু হল চুঁচুড়ায়
নির্মল কোরা আরও বলেন, তিনি একসময় শুনেছিলেন যে সাপে কামড়েছে সেই সাপ যদি চিকিৎসক শনাক্ত করতে পারে তাহলে তার শুশ্রষাও চটজলদি মেলে। তাই সাপ কামড়ানোর পরে সাপটিকে ধরে ফেলেন ওই দুইজন। তারপর সাপটিকে ধরেই সোজা হাজির হন হাসপাতালে। ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে হাজির হন পান্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চম্পা হাজরা ও পান্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ অসিত চট্টোপাধ্যায়। অসিত চট্টোপাধ্যায় বলেন, দুই ব্যক্তিকে সাপে কামড়ায় তারা অসম সাহসিকতার সঙ্গে সাপটিকে ধরে হাসপাতালে নিয়ে আসে চিকিৎসকদের কাছে।
আরও পড়ুনঃ শ্রীরামপুরের ফ্যাক্টরিতে আবার গ্যাস লিক! অসুস্থ ২৩ জন কর্মী
জনশ্রুতি আছে যে সাপ কামড়েছে সে সাপকে যদি চিহ্নিত করা যায় তারে চিকিৎসা ভালো করা যায়। সাপের কামড় খেয়ে তারা কোনও ওঝার কাছে না গিয়ে সোজা হাসপাতালে এসেছেন। মানুষ এতটাই বিজ্ঞানমনস্ক এবং সচেতন হয়েছেন যে সাপ নিয়ে হাসপাতালে চলে আসছেন এটা ভালো দিক। হাসপাতালে সাপ দেখে হাসপাতালে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়,আতঙ্ক ছড়ায়। যখন জানা যায় সাপটি মৃত তখন ধড়ে প্রাণ আসে হাসপাতাল কর্মীদের। আহত দুইজনের চিকিৎসা চলছে পান্ডুয়া গ্রামীন হাসপাতালে।
Rahi Haldar