TRENDING:

Toll Tax: বাঁশের সাঁকো পারাপারেও দিতে হয় টাকা, স্থায়ী ব্রিজ না হওয়ায় বছরভর যন্ত্রনা খানাকুলে

Last Updated:

নদীর ওপর বাঁশের সাঁকো হেঁটে পেরোতেও দিতে হয় টোল ট্যাক্স। রোগীর গাড়ি, হেঁটে যাতায়াত, সাইকেল, মোটরসাইকেল বা চার চাকা গাড়ি বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পেরোলেই দিতে হবে টাকা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
খানাকুল: নদীর ওপর বাঁশের সাঁকো হেঁটে পেরোতেও টাকা দিতে হয়। তবুও স্থায়ী ব্রিজ হল না। রোগীর গাড়ি, হেঁটে যাতায়াত, সাইকেল, মোটর সাইকেল বা চার চাকা গাড়ি বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পেরোলেই দিতে হবে টাকা। ভোট আসে ভোট যায় প্রতিশ্রুতির বন্যা বয়ে যায়। হুগলির খানাকুলের ১২ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের শতাধিক গ্রামের মানুষজন। স্কুল কলেজ বা হাটবাজার অথবা থানায় কিংবা বিডিও অফিসে গেলেও বাঁশের সাঁকো পারাপার করলেই দিতে হয় ট্যাক্স। ছাড় নেই রোগী বহনকারী গাড়িরও।
advertisement

খানাকুলের মুণ্ডেশ্বরী নদী বিভিন্ন শাখা-প্রশাখায় খানাকুল জুড়ে বিস্তৃত। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাতায়াত করতে গেলে কোথাও একটি নদী তো কোথাও দুটি কোথাও বা তিনটি নদী পারাপার করতে হয় বাঁশের সাঁকো দিয়ে। গনেশপুর থেকে নতিবপুর ১ প্রায় কিলোমিটার যাতায়াত করতে ২ টি ব্রিজ বেরোতে হয়। আর দুই জায়গাতেই দিতে হয় ট্যাক্স। আর গণেশপুর থেকে চিংড়া প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা পেরোতে ৩ টি ব্রিজ পেরোতে হয় ৩ জায়গাতেই দিতে হয় টাকা।

advertisement

আরও পড়ুন ঃ স্কুলে মিটার বক্সে বিশালাকার গোসাপ, উদ্ধার করে ছাড়া হল প্রকৃতিতে

শুধু এইখানেই নয় খানাকুলের কাবিলপুর, হরিশচক, পানশিউলি, উদনা, বালিপুর, ছত্রশাল, ময়াল প্রভৃতি জায়গায় মুণ্ডেশ্বরী ও দারকেশ্বর নদীতে একাধিক বাঁশের সাঁকো আছে। প্রত্যেকটি জায়গাতে টাকা না দিলে হেঁটে পেরানো যাবে না। আর এই সমস্ত ঘাটগুলির পঞ্চায়েত সমিতি টেন্ডার করে। লক্ষ লক্ষ টাকায় টেন্ডার হয় এই সমস্ত ঘাট গুলির।

advertisement

View More

শাসকদলের নেতাদের ছত্রছায়ায় থাকা লোকজনই টেন্ডার পায়। আর এই সমস্ত ঘাট গুলিতে হাজার হাজার মানুষ পারাপার করে নিত্যদিন। যদিও বিদায়ী জেলা পরিষদের সদস্য নজিবুল করিম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দীর্ঘ বাম কংগ্রেস আমলে উন্নয়ন হয়নি। তৃণমূল সরকার ধীরে ধীরে উন্নয়ন করছে। অন্যদিকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ঘাড়ে টাকা না দেওয়ার দায় ঠেলেছেন।

advertisement

এদিকে ব্রিজ নিয়ে সরব হয়েছে খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। বিধায়কের দাবি তৃণমূলের লোকজন লুটেপুটে খাচ্ছে। সামনে পঞ্চায়েত ভোট সময়ের অপেক্ষা শুধু। জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি মেহেবুব রহমান টাকা তোলার প্রসঙ্গে এড়িয়ে গিয়েছেন। তিনি বলেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। একার পক্ষে তো সবকিছু হয়না। কেন্দ্রীয় সরকার কোনভাবে সাহায্য না করলে আমরা করতে পারব না। তবে আমাদের যতটুকু করার করেছি। তবে তিনি আগামী দিনে কাজেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

advertisement

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরামবাগে নব জোয়ার কর্মসূচিতে এসে দলীয় কর্মী থেকে প্রচুর মানুষজনের ব্রিজের সমস্যা নিয়ে অভিযোগ পেয়েছিলেন বলে স্বীকার করেছেন। আর বলেছেন চাষীরা বিনা পয়সায় ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে। সেই নির্দেশও দিয়েছেন।

কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে খানাকুলের মত জায়গায় কতজন চাষী সাইকেল বা মাথায় করে ব্রিজ পারাপার হয় চাষের জিনিসপত্র নিয়ে। বিভিন্ন সরকারি দফতর থেকে হাসপাতাল স্কুল কলেজ সমস্ত জায়গায় যেতে গেলে এই সাঁকো পেরোতে হয়। তাদের কি হবে? সরকার কি ব্রিজ তৈরি করে মানুষের পাশে থাকতে পারেনা।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

শুভজিৎ ঘোষ

বাংলা খবর/ খবর/হুগলি/
Toll Tax: বাঁশের সাঁকো পারাপারেও দিতে হয় টাকা, স্থায়ী ব্রিজ না হওয়ায় বছরভর যন্ত্রনা খানাকুলে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল