চন্দ্রযান-২ এর যোগাযোগের অ্যান্টেনার ডিজাইনের দায়িত্ব ছিলেন বছর বিয়াল্লিশের বিজ্ঞানী চন্দ্রকান্ত।ইসরোয় বর্তমান জয়েন্ট সেক্রেটারি পদে কর্মরত তিনি। তার ভাই শশিকান্তও ইসরোয় মাইক্রোওয়েভ ইঞ্জিনিয়ারিং এর গবেষক। দুই ছেলে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোয় রয়েছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদ ছুঁল বাঁকুড়ার পাত্রসায়েরের ডান্না গ্রামের সন্তান কৃশানু নন্দী! গল্প জানলে অবাক হবেন
advertisement
হুগলির গুরাপের খাজুরদহ মাজিনান শিবপুর গ্রামে রয়েছেন তাদের মা অসীমা বাবা মধুসূদন কুমার। তাদের মধ্যেও উৎকন্ঠা ছিল। আজ চন্দ্রযান ৩ এর চাঁদের পিঠে নামার সরাসরি সম্প্রচার দেখলেন তাঁরা।
চন্দ্রযান ২ সফল উৎক্ষেপনের পর চাঁদের মাটি ছোঁয়ার আগেই ভেঙে পরেছিল। গতি কমিয়ে সফট ল্যান্ডিং বা পাখির পালকের মত চাঁদের বুকে নামতে পারেনি চন্দ্রযান ২ । সেজন্য আফসোস ছিল।কারন বড় ছেলে চন্দ্রকান্ত কুমার সেই মিশনে অংশীদার ছিলেন ।চার বছর পর সেই ব্যার্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ত্রুটি শুধরে চাঁদের মাটি ছুঁতে চলেছে চন্দ্রযান-৩।
বৃদ্ধ মধুসূদন কুমার কৃষি কাজ করেন।ছেলেরা বছরে এক দুবার আসে। গত জনাুয়ারী মাসে গ্রামের বাড়িতে পরিবার নিয়ে এসেছিলেন চন্দ্রকান্ত।
প্রতিদিনই ছেলেদের সঙ্গে কথা হয় মধুসূদন বাবুর।মিশন চন্দ্রযান-৩ এ নেই চন্দ্রকান্ত তবে চন্দ্রকান্তদের টিমের পাঠানো চন্দ্রযান-২ এর অরবিটর যা চাঁদের কক্ষ পথে রয়েছে তার সাহায্য নিয়ে ল্যান্ডার বিক্রম অনেক তথ্য পাঠিয়েছে ইসরোয়। দুই ব্যার্থ হলেও এখনও কাজ করে চলেছে আর তিন সফল হবে বলছেন শশি চন্দ্র মা বাবা।
রাহী হালদার