স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ওই শিক্ষক বলাগড়ের একটি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেন। স্কুলের শিক্ষকতার পাশাপাশি ক্রিকেট কোচিং-এর অ্যাকাডেমিও চালান তিনি। গত ২ বছর ধরে নির্যাতিতা বছর ১৫-এর ওই নাবালিকা তাঁর কাছে প্রাইভেট টিউশন পড়ত। পাশাপাশি, ক্রিকেটে শিখত। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার বাবা নেই, তাই মামার বাড়িতেই থেকেই বড় হচ্ছে সে।
advertisement
নাবালিকার মামার অভিযোগ, গত এক বছর ধরে ভয় দেখিয়ে তাঁর ভাগ্নির উপরে যৌন নির্যাতন চালিয়েছে অভিযুক্ত। মাস খানেক আগে জোর করে আবারও নির্যাতন করে। বিষয়টি জানাজানি হতে স্থানীয় ভাবে মেটানোর চেষ্টা করা হয়। তবে কোনও নিষ্পত্তি না হওয়ায় গত শনিবার রাতে গুপ্তিপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার।
নাবালিকার মামা জানান, তার ভাগ্নিকে মোবাইল ফোন কিনে দিয়েছিলেন ওই শিক্ষক। সেই মোবাইলেই একাধিক খারাপ মেসেজ পাঠাতেন উনি। এখানেই শেষ নয়, দীর্ঘ এক বছর ধরে নানা রকম ভাবে শারীরিক নির্যাতন চালাতেন নাবালিকার উপরে। যদিও অভিযুক্ত শিক্ষকের স্ত্রীয়ের দাবি, মোবাইলের মেসেজ করে তাঁর স্বামীকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সোমবার থেকেই তৃণমূলের মহাকর্মসূচি! নবজাগরণ যাত্রা শুরু করছেন অভিষেক
অভিযুক্তের শাস্তি দাবি করেছে নাবালিকার পরিবার। বলাগড় থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার পরেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পসকো মামলা দায়ের হয়েছে।
রাহী হালদার