তৃণমূলের যুবার নেতা থেকে জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ। বছর পাঁচেক আগে তারকেশ্বর থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভোটে জিতে জেলা পরিষদের আসন পাকা করেন শান্তনু। কিন্তু কীভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি ভোটে জিতলেন! তবে কি কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি? নাকি কাউকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেওয়া হয়নি?
বিরোধীরা বলছেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হলেও মাথায় বন্দুক ধরে তাঁদের মনোনয়নপত্র তুলে নিতে বাধ্য করেন শান্তনু। এমনটাই অভিযোগ বাম ও বিজেপির। এমনকি শাসক দলের লোকেরাও তাঁর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন।
advertisement
বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়া সুনীল পাঁজা জানিয়েছেন, ভোটের আগে শান্তনুর গুন্ডাবাহিনী তাঁর বাড়িতে গিয়ে পৌঁছায়। বাড়ির ভেতরে তাঁর দুই বাচ্চার সামনে মাথায় বন্দুক ধরে মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য ভয় দেখায় শান্তনু ও তার গুন্ডা বাহিনী।
ঠিক একই অভিযোগ বাম সমর্থিত প্রার্থী তন্ময় জানারও। তিনি জানিয়েছেন, প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের জন্য শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর লোকজন তার বাড়িতে গিয়ে নানা রকম চাপ দিতে সৃষ্টি করে তিনি মনোনয়নপত্র না তুললে তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করে। তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি অবধি দেয়। এক প্রকার বাধ্য হয়েই মনোনয়নপত্র তুলে নিতে বাধ্য হন তাঁরা।
আরও পড়ুন, কঠিন সময়, চ্যালেঞ্জ অনেক, পঞ্চায়েতের আগে আজ মেগা বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
আরও পড়ুন, আপনারা কি তদন্ত করতে জানেন না, ক্ষোভ উগরে দিয়ে সিবিআইকে প্রশ্ন বিচারপতির
বছর পাঁচ এর আগে তারকেশ্বর ৩৪ নম্বর আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন শান্তনু। এখন নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার তিনি। শান্তনু গ্রেফতার হতেই একের পর এক বিতর্কিত তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে।
রাহী হালদার