উল্টো রথের দিন মাসির বাড়ি থেকে জগন্নাথ বলরাম এবং সুভদ্রার বিগ্রহকে দুপুর তিনটের সময় রথে তোলা শুরু হয়। বিগ্রহ রথের স্থাপন হলে বিকাল ৪ টে নাগাদ রথ রওনা দেয় নিজের বাড়ির উদ্দেশে। উল্টো রথের দিনেও জগন্নাথ বলরাম এবং সুভদ্রাকে রথে চড়ে নিজের বাড়ি যাওয়া দেখার জন্য লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হয় শ্রীরামপুরের মাহেশে।
advertisement
আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস থাকবে কন্ট্রোলে, শরীর থাকবে ফিট! ‘এই’ সুগন্ধী চালের গুণে বিরাট ভরসা বিশেষজ্ঞদের
রথ উপলক্ষে জি টি রোডের এক অংশ নো এন্ট্রি করে দেওয়া হয় দুপুর থেকেই। রথের টান দেখতে আসা লক্ষাধিক ভিড়ের সমাগমকে সামাল দেওয়ার জন্য মজুদ ছিল পর্যাপ্ত পরিমাণের পুলিশ বাহিনী। রথের চাকা বিকেল চারটের পর গড়াতে শুরু করে মাসির বাড়ি থেকে এবং সন্ধ্যে ছটা নাগাদ তা এসে পৌঁছয় মাহেশ জগন্নাথ বাড়িতে।
মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের সম্পাদক ও সেবাইত পিয়াল অধিকারী বলেন, ন’দিন মাসির বাড়িতে থাকার পর অবশেষে রাজ বেশে জগন্নাথ দেবকে নিয়ে যাওয়া হবে তার নিজস্ব মন্দিরে। বলা হয় এই ৯ দিন যে বেদিতে জগন্নাথ দেব ছিলেন সেটি হল তাঁর জন্ম বেদী। ৯ দিন বাদে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের তাঁর কর্ম বেদিতে।
রথের দিন ঘটেছিল একাধিক চুরির ঘটনা, তবে উল্টো রথের দিন আরও সচেতন হয়েছে পুলিশ প্রশাসন। এই বিষয়ে শ্রীরামপুর পুলিশের ডিসি অরবিন্দ আনন্দ বলেন, সিসিটিভিতে গোটা চত্বর মুড়ে ফেলা হয়েছে। নজরদারি চলছে ড্রোন ক্যামেরায়। পুলিশ যে কোন রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতিকে সামাল দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
রাহী হালদার