এ বিষয়ে আদি শ্রীরামকৃষ্ণ সারদা মিষ্টি ভান্ডারের মালিক জানান, ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের রাসমঞ্চ অভিনয় থেকে পাঠশালা পলায়ন লাহা বাড়ির সঙ্গে তার একটা অদ্ভুত যোগাযোগ ছিল। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণদেব এই সাদা বোঁদে ভীষণ খেতে পছন্দ করতেন। তিনি এই মিষ্টি খান তার বন্ধু দুর্গাদাস মোদকের বাড়িতে। তিনি আরও বলেন, সাদা বোঁদে কামারপুকুর গ্রামের ঐতিহ্য বলা উচিত এটি আর কোন জায়গায় পাওয়া যায় না।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সপ্তাহান্তে একেবারে বদলে যাবে দিঘা আবহাওয়া, জানুন সর্বশেষ পূর্বাভাস
ঠাকুরের সাদা বোঁদের প্রতি অগাধ প্রেম ছিল। কথিত আছে পেট ভর্তি খাওয়া হলেই শুকনো সাদা বোঁদে তাকে দেয়া হয় তবে সেটি তিনি ভাবতে পারবেন না। অন্যদিকে, এই বিষয়ে মিষ্টি তৈরির কারিগর জানান,আতপ চাল এবং রম্ভা কলায় গুঁড়ো করা হয়। আগে ঘি দিয়ে তৈরি হতো, এখন সেটি সাদা তেল দিয়ে তৈরি হয়। এক কিলো ব্যাসনে তিন কিলো সবেদা। আর দেড় কেজি ব্যাসনে সাড়ে ৬ কেজি গুড়ি। পুরো জিনিসটি হবে ৩৫ কেজি।সেটাকে মিশ্রণ তৈরি হয়, যাকে খামি বলে, এটিকে ৪৫ মিনিটের মতো মিষ্টি রসের ভিজিয়ে রাখা হয়। গরমে পাঁচ থেকে সাত দিন বাইরে রাখলে এই মিষ্টি স্থায়ী হয়।
স্থানীয় এক বাসিন্দা সাদা বোঁদে কিনতে এসে বলেন, কামারপুকুরের বোঁদে মানে তো বিখ্যাত। মাঝে মাঝেই যখন কামারপুকুর দিয়ে আসি তখন তো বাড়িতে কিনে নিয়ে যেতেই হয়। যদি খাও তাহলে আর একবার খেতে ইচ্ছা করে।
Suvojit Ghosh