চাষিদের কাছে বরাবরেরই সমস্যা চাষের জল নীরেনের কাজ এবং পোকামাকড়ের উপদ্রব। অভিনব এই পদ্ধতিতে চাষ করলে এইসব সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে জানিয়েছেন হটিকালচার দফতরের আধিকারিকরা। পলি মালচিং পদ্ধতিটি হল চাষের জমি কে আলাদা আলাদা ভাবে ভাগ করে নিয়ে তার ওপর নির্দিষ্ট গেজের পলিথিন পেতে তার উপরে চাষ করা। এই ধরনের চাষে একদিকে যেমন চাষিদের পরিশ্রম কমবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ৫০ বছরেও তৈরি হল না কংক্রিটের সেতু! জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন পারাপার
অন্যদিকে ফলনও দ্বিগুণ হবে। এই বিষয়ে সহ উদ্যান পালন অধিকর্তা ডক্টর শুভদীপ নাগ জানান, যে প্রথাগত নিয়মে পেঁপের চাষ করা হতো তার পরিবর্তে এই পলি মালচিং পদ্ধতিকে আনা হয়েছে চাষিদের সুবিধার্থে। এই পদ্ধতিতে চাষ করলে নীরেনের খরচ অনেকটাই কমে যাবে। সারের খরচ কম লাগবে। জল সেচের পরিমাণও কম লাগবে। সর্বোপরি ফসলের ওপর আক্রমণকারী পোকাদের হাত থেকেও রেহাই পাওয়া যাবে। অন্যদিকে ফলনের মাত্রা ও দুই থেকে তিনগুণ বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুনঃ মাছ ধরার প্রতিযোগিতা হুগলিতে, উৎসাহ দিতে হাজির মৎস্য মন্ত্রী
জমিতে যে জল অপচয় হয় সেই জল অপচয় পরিমাণও কমে যাবে। হাতে-কলমে শেখার পর স্থানীয় এক চাষি জানান, তারা আশা করছেন অভিনব পদ্ধতি তাদের জন্য লাভ দায়ক হবে। যদি শাড়ির খরচ নীরেনের খরচ এগুলি কমে আসে তাহলে চাষিদের জন্য তা ভালো খবর। এখন দেখার ফলন কতটা ধরছে। তবে তারা আশাবাদী অভিনব পদ্ধতিতে চাষ করে তারা লাভের নিশ্চয়ই দেখবেন।
Rahi Haldar