পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি সহ বিভিন্ন জেলায় পঞ্চায়েতে ভোট গণনার পর রাস্তায় ছড়িয়ে থাকা ব্যালট উদ্ধার হয়। হুগলির জাঙ্গীপাড়ায় ব্যালট নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। রিটার্নিং অফিসারকে ডেকে জবাব চেয়েছে আদালত। বিরোধীদের অভিযোগ ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। গণনাতে কারচুপি হয়েছে তারই প্রমান এই ভাবে ভোট গণনা কেন্দ্রের আশেপাশে ছাপমারা ব্যালট উদ্ধার হওয়া।
advertisement
পান্ডুয়া ব্লকের ভোট গণনা হয়েছিল বৈঁচির একটি বেসরকারি কলেজে। সেই কলেজের পিছন দিকেই ব্যালট ছড়িয়ে পরে থাকতে দেখা যায়। পান্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির ৩৯ নম্বর বুথের ব্যালটে সিপিএম এবং বিজেপির প্রতীকে ছাপ মারা রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন সিপিআইএম এবং বিজেপির কর্মীরা।
সিপিআইএমের প্রদীপ সাহা অভিযোগ করেন, “গোটা রাজ্যের মতো পান্ডুয়াতেও ব্যালট পাল্টে দেওয়া হয়েছে। সন্দেহ হচ্ছে পঞ্চায়েতের তিনটে স্তরের ব্যলটি এখানে হয়তো ফেলে দিয়েছিল তৃণমূল। যারা কাগজ কুড়োতে আসে, তারা বেশ কিছু ব্যালট নিয়ে গেছেন। ব্যালট গুলো কীভাবে বাইরে এলো, তার জবাব রিটার্নিং অফিসারকে দিতে হবে। আমরা সংশ্লিষ্ট জায়গায় বিষয়টি জানিয়েছি।”
বিজেপি হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার বলেন, “ভোট গণনার দিন তৃণমূলের নেতারা আমাদের কর্মীদের গণনা কেন্দ্র থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। আর এখন দেখা যাচ্ছে আমাদের বিজেপির প্রতীকে ছাপমারা ব্যালট ছড়িয়ে আছে। এ থেকেই বোঝা যায় তৃণমূল জোর করে জিতেছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানাবো।”
আরও পড়ুন, প্রয়াত হলেন কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী! বেঙ্গালুরুতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ
আরও পড়ুন, একুশে জুলাই বৃষ্টিতে ভাসতে পারে শহর ! যা জানাল আবহাওয়া অফিস
তৃণমূলের হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইন বলেন, “গোটা রাজ্যের সঙ্গে পান্ডুয়ার মানুষের তৃণমূলকে আশীর্বাদ করেছে। তাই ব্যালট সরিয়ে ফেলার কোন প্রয়োজন পড়ে না। ভোট মেটার আটদিন পরে বিজেপি আর সিপিএমের নজরে পড়লো। ব্যালট আর কেউ দেখতে পেল না। এসব ওদের যোগসাজস তৃণমূলকে বদনাম করার জন্য।”
রাহী হালদার