চারিদিকে মন্দিরের সামনে ‘টেরাকোটা’র অলংকরণ আছে, মন্দিরে তবে মন্দিরের টেরাকোটার বিষয়বস্তুর মধ্যে লক্ষ্য করা যায় রাম রাবণের যুদ্ধ, বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি সহ বিভিন্ন কাহিনী। গর্ভগৃহের প্রবেশদ্বারের দুপাশে আছে দুটি দ্বারপালের মূর্তি। গর্ভগৃহে দেবী বিশালাক্ষী নিত্য পূজিতা।মন্দিরের সামনে একটি টিনের চালের নাটমন্দির রয়েছে।
আরও পড়ুন: আচমকা চা বাগানে অজানা জন্তুর গর্জন! বেঘোরে প্রাণ গেল শ্রমিকের, ঘটনা জানলে হাড় হিম হয়ে যাবে
advertisement
কথিত আছে এই মন্দির ও নিকটস্থ দীঘি স্থানীয় জমিদার রণজিৎ রায়ের কীর্তি। এই মন্দির নিয়ে একটি লোকশ্রুতি প্রচলিত আছে। রণজিৎ রায়েকে দেবী বিশালাক্ষী প্রতিশ্রুতি দেন যে তিনি তাঁর কন্যা হয়ে জন্মাবেন কিন্তু যদি কোনদিন তাঁকে চলে যেতে বলা হয় তবে তিনি তৎক্ষণাৎ চলে যাবেন। একদিন বারুণী উৎসবের দিন কন্যারূপী দেবী রণজিৎ রায়ের কাছ থেকে স্নানে যাওয়ার অনুমতি চান। অন্যমনস্কভাবে তিনি অনুমতি দেন। অতঃপর দেবী চিরকালের জন্য ওই দীঘির জলে বিলীন হয়ে যান।
তবে স্থানীয় দের কথা অনুযায়ী বর্ধমান রাজার স্বপ্নাদেশে তৈরি হয় মন্দির রাজা দায়িত্ব তুলে দেন স্থানীয় রায় বংশের জমিদারের হাতে। বিক্রমপুর থেকে পেরিয়ে মাধবপুরের সেই রায় বংশই আজও দেখভাল করে মা এর মন্দিরে। পুরোহিত, সেবাইতরা বংশ পরম্পরায় পুজো করে চলেছে। আকর্ষনীয় ইতিহাস বলতে গেলে বলতেই হয় মা সারদা দেবী স্বয়ং মা বিশালাক্ষীর পুজো করে গিয়েছিলেন। আজও এই প্রাচীনতম মন্দির স্মৃতি বিজড়িত রয়ে গিয়েছে এই গ্রামের মধ্যে।
শুভজিৎ ঘোষ