সূত্রের খবর, তিন তিনটে মাঠ ফেন্সিং দিয়ে ঘেরা, আর ফেন্সিং এর গা ঘেঁষে গজিয়ে ওঠা দোকানে মাঠের খেলা দেখতে অসুবিধা হয়। যত্রতত্র বাঁশ বেঁধে প্লাস্টিক টাঙিয়ে রাখায় দোকান করায় দৃশ্য দূষনও হয়। শহরের প্রাণ কেন্দ্রে জেলা শাসক অফিস, সার্কিট হাউস, জেলা আদালত, রবীন্দ্র ভবন, মহসীন কলেজ একাধিক স্কুল সর্বোপরি খেলার মাঠে বাইরে থেকে খেলতে আসা লোকজনের কাছে শহরের একটা বিরূপ ছবি ধরা পরছে। মনে করেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার।
advertisement
আরও পড়ুন: হাজারদুয়ারীতে বেড়াতে যাচ্ছেন? জেনে নিন কী ভাবে গাইড নেবেন
বুধবার সন্ধ্যায় হুগলি জেলা স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের ইস্টার্ন গ্রাউন্ডে ফুটবল খেলার দুটি ড্রেসিং রুম এর উদ্বোধনে এসে প্লাস্টিক টাঙানো দোকান দেখে ক্ষিপ্ত হন। জেলা শাসক মুক্তা আর্যকে ফোন করে বলেন সব দোকান তুলে দিতে, পুলিশও ডাকেন। চুঁচুড়া থানার আইসি অনুপম চক্রবর্তী তিন গাড়ি পুলিশ নিয়ে হাজির হন। বিধায়ক ঘুরিয়ে সব দোকান দেখান। পুলিশ ও চুঁচুড়া পুরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে দোকানদারদের বলে দেন প্লাস্টিক ছাউনি খুলে ফেলতে হবে। বাঁশের খাঁচাও সরিয়ে নিতে হবে। নাহলে দোকান চালাতে দেওয়া হবে না। চাকা লাগানো ভ্যানে দোকান করা যাবে অস্থায়ী ভাবে কোনও স্থায়ী ব্যবস্থা করা যাবে না।কালকের মধ্যেই করতে হবে বলে জানিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: বিএসএফের চাকরির আগে ঠিক কী কী মাথায় রাখা উচিত? কৌশল শেখাচ্ছেন বাহিনীর কর্তা
বিধায়ক বলেন, “কারও ক্ষতি হোক চাইনা। আগের ডিএম সব দোকান তুলে দিতে চেয়েছিলেন আমি তখন আটকে বলেছিলাম ভ্যান গাড়িতে দোকান চালাক সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত। বেচাকেনা করে চলে যাবে। কিন্তু গত এক বছর ধরে সব শেড বানিয়ে নিয়েছে কোনো ভ্যান নেই। এটা চলতে পারেনা। এরা যদি নিজেরা খুলে নেয় ভাল নাহলে প্রাশাসনিক ভাবে ব্যবস্থা নেব।”
রাহী হালদার