TRENDING:

Hooghly News: হিমঘরেরই পচন ধরছিল আলুতে! জট কাটল জেলা শাসক ও কৃষিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে

Last Updated:

জট মিটেছে আলুর। জেলা শাসক দপ্তরে দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে বেরিয়ে আসে সমাধান সূত্র। ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন আলু চাষীরা। প্রশাসনের নির্দেশে প্রতি বস্তা ৩৫০ টাকা দরে আলু কিনছে হিমঘর মালিকরা। ধনিয়াখালির বলাকা হিমঘরে রাখা বেশ কিছু আলুতে পচন ধরে কয়েকদিন আগে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#হুগলি : জট মিটেছে আলুর। জেলা শাসক দপ্তরে দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে বেরিয়ে আসে সমাধান সূত্র। ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন আলু চাষীরা। প্রশাসনের নির্দেশে প্রতি বস্তা ৩৫০ টাকা দরে আলু কিনছে হিমঘর মালিকরা। ধনিয়াখালির বলাকা হিমঘরে রাখা বেশ কিছু আলুতে পচন ধরে কয়েকদিন আগে। যা নিয়ে বিক্ষোভ দানা বাধে চাষী ও সংরক্ষণ কারীদের মধ্যে। আলুর ক্ষতিপূরন দিতে হবে এই দাবীতে অনর থাকে চাষীরা। হিমঘর কর্তৃপক্ষ প্রথমে ক্ষতিপূরন দেবে বলেও পিছু হটে। প্রতিবাদে হিমঘর সিল করে দেয় সংরক্ষণকারীরা। হিমঘরে থাকা ৫৪ হাজার বস্তা আলু নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরী হয়। তড়িঘরি পদক্ষেপ নেন জেলাশাসক পি দীপাপ প্রিয়া। পুলিশ পাঠিয়ে হিমঘর খুলে দেন।
advertisement

সমস্যা মেটাতে চুঁচুড়ায় তার দপ্তরে সব পক্ষকে বৈঠকে ডাকেন জেলা শাসক। হিমঘর কর্তৃপক্ষ জানায় তারা আলুর ভাড়া বাবদ একশ টাকা আরও পঞ্চাশ টাকা ছাড়তে পারে। সংরক্ষণকারীরা তা মানতে চায়নি। প্রায় সারে চার ঘন্টার বৈঠকে রফাসূত্র মেলেনি সেদিন। আজ আবার বৈঠক ডাকেন জেলা শাসক। কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না, ধনিয়াখালীর বিধায়ক অসীমা পাত্র, জেলা শাসক, মহকুমা শাসক, হিমঘর কর্তৃপক্ষ, সংরক্ষণকারী, আলু ব্যবসায়ী সমিতি এবং ধনিয়াখালি পঞ্চায়েত সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

advertisement

বৈঠক শেষে বেচারাম মান্না ও অসীমা পাত্র বলেন, সমস্যা মিটে গেছে। আমরা আগের দিন আলোচনা করে অনেকটাই এগিয়ে রেখেছিলাম। আজকের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বড় আলু সারে চারশ টাকা মাঝারি আলু তিনশ টাকা বস্তা দেবেন হিমঘর কর্তৃপক্ষ। কেট আলুর ভাড়া হিমঘর নেবে না। আগামী সাত দিনের মধ্যে চাষীরা তাদের আলুর বন্ড জমা দেবে। হিমঘর চাষীদের একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেবে। ৩১ শে ডিসেম্বরের মধ্যে গোটা বিষয়টা মেটাতে হবে। এই খুশি আলু সংরক্ষণকারী ও চাষিরা। আজকে আলুর বন্ড তিনশ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আলুর দাম ক্রমশ নিম্ন মুখি। আলু হিমঘরে মজুদ করার সময় যা দাম ছিল তার তুলনায় এখন অনেকটাই কম।

advertisement

আরও পড়ুনঃ রাস্তা পরিণত হয়েছে মরণ ফাঁদে! সিঙ্গুরের বেহাল রাস্তা নিয়ে উদাসীন প্রশাসন

View More

তবুও বর্তমান বাজার মূল্যে ক্ষতিপূরন পাওয়ায় লোকসান হলেও মেনে নিতে হচ্ছে বলেন চাষী সেখ সৌকত আলি।চলতি মরসুমে আবার আলু চাষ হচ্ছে বলাকা হিমঘর তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করলে সেখানেই আলু রাখব। রাজ্য আলু ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় বলেন,চাষীদের আলু হিমঘর কর্তৃপক্ষ নিয়ে বিক্রি করবে।একটু সমস্যা হবে তবে বিক্রি হয়ে যাবে।হিমঘরে আলু রাখার ক্ষেত্রে চাষীরা ভয় পেতে পারে তবে ব্যবসায়ীদের দিক থেকে আমরাও বিষয়টা বোঝাবো।

advertisement

আরও পড়ুনঃ পশ্চিমবঙ্গ ল-ক্লার্কস অ্যাসোসিয়েশনের নয়া নির্দেশিকা, মানতে হবে পোশাক বিধি

তবে প্রতিবছর এই ঘটনা হবে ভাবার কোন কারণ নেই। প্রশাসনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন হিমঘর কর্তৃপক্ষ। ডাইরেক্টর নিখিল সিংহরায় জানান,আমরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে কিছু বলব না।তবে সব আলুতো খারাপ হয়নি তা সত্ত্বেও সব আলুর দাম দিতে হবে। আসলে বাজারে অনেক ধার দেনা থাকে সেগুলো তুলতে হবে আবার এত আলু নষ্ট হবে সেটাও দেখা যায় না। যে আলুতে দাগ এসেছে তার দাম নিলে বোধ হয় ভালো হত।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

Rahi Haldar

বাংলা খবর/ খবর/হুগলি/
Hooghly News: হিমঘরেরই পচন ধরছিল আলুতে! জট কাটল জেলা শাসক ও কৃষিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল