আরও পড়ুন: সঙ্কটে কপিলমুনির মন্দির, আশ্রমের সামনে নদী বাঁধে ফাটল
বছরের এই একটা সময়ই লক্ষ্মীলাভের আশায় থাকেন পদ্ম চাষিরা। তবে এই বছর অসময়ে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে দুশ্চিন্তার ভাঁজ চাষিদের কপালে। পুজোয় পর্যাপ্ত পরিমাণ ফুলের যোগান দেওয়া কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। চড়া সুদে মহাজনের থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেন হুগলির পদ্ম চাষিরা। আশায় থাকেন, পুজোর সময় ফুল বিক্রি করে ভাল লাভ হবে। তা দিয়ে যাবতীয় ঋণ শোধ করে দেবেন। কিন্তু এই বছর লাভ তো দুরস্ত, আদৌ খরচ উঠবে কিনা তা নিয়েই সংশয়ে তাঁরা।
advertisement
দুর্গাপুজোর উপাচারে পদ্ম ফুল লাগে। পুরাণ মতে, মহাষ্টমী ও নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে চন্ড-মুন্ড অসুরকে বধ করতে দেবী মহামায়া চামুন্ডা রূপে আবির্ভূতা হন। রীতি অনুযায়ী সন্ধি পুজোয় ১০৮ টি পদ্ম নিবেদন করতে হয় মা দুর্গাকে। পদ্ম হল ভক্তির স্বরূপ। তাই দুর্গাপুজোয় পদ্ম ফুলের চাহিদা থাকে বিপুল। কিন্তু এই বছর যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে তাতে আদৌ সব মণ্ডপে চাহিদা মত পদ্মফুল যোগান দেওয়া যাবে কিনা তা নিয়েই সংশয় আছে।
হুগলির পান্ডুয়ায় প্রায় শতাধিক চাষি পদ্মফুল চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এখানকার বেড়েলা, কোচমালি, বৈঁচি, চারাবাগান, খন্যান, গোয়ারা, পাঁচগড়া গ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকায় একরের পর এক জলাশয়ে পদ্ম চাষ হয়। কিন্তু এবার ছবিটা একেবারে অন্যরকম। কোথাও পদ্ম গাছে কুঁড়ি দেখা যাচ্ছে না। চাষিরা বলছেন, বর্ষার সময় বৃষ্টি না হওয়ায় জলাশয়ে জল ছিল না, তার ফলেই এমন অবস্থা। এখন আবার বেশি বৃষ্টি হওয়ায় পদ্মের কুঁড়ি সেভাবে হচ্ছে না। ফলে উৎপাদন মার খাচ্ছে। অন্যান্য বার পুজোর মাস খানেক আগে থেকে পদ্ম তোলা শুরু হয়। এলাকায় বহুমুখি হিমঘর না থাকলেও আলু রাখার হিমঘরে পদ্ম রাখা হয়। তারপর সেই ফুল পুজোর সময় হাওড়া মল্লিক বাজারে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করা হয়। এবার আগে থেকে মজুত করার মত ফুলই হয়নি। ফলে পুজোর সময় কী করে যোগান দেবেন সেটাই চিন্তার।
রাহী হালদার





