চুঁচুড়ার গঙ্গাপাড়ে ময়ূরপঙ্খীঘাট সংলগ্ন একটি পার্কে রোজই খেলাlo করে হনুমানের দল। বড় হনুমানের সঙ্গে থাকে তাদের শাবকরা। বট অশ্বত্থ গাছে লাফিয়ে চলে খেলা। বাদাম, বিস্কুট পছন্দ তাদের। স্থানীয়রা অনেক সময় তাদের খেতে দেন। আজ সেরকমই খেলতে খেলতে ট্রান্সফর্মারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় একটি হনুমান শাবক। ছিটকে পড়ে রাস্তায়। আংশিক ঝলসে যাওয়া শাবকের চিন্তায় বসে থাকতে দেখা যায় তার মাকে।
advertisement
বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে পড়তেই তড়িঘড়ি হনুমান শাবকটিকে তুলে নিয়ে শুশ্রুষা শুরু করেন তাঁরা। দুধ-মধু মিশিয়ে খাওয়ানো হয় চামচে করে। পশু চিকিৎসকের পরামর্শে বেটনিসল ওষুধও খাওয়ানো হয়। বাঁ হাতে চোট একটু বেশি থাকায় হাত তুলতে পারছে না শাবকটি। শরীরের কিছু অংশ পুড়ে যাওয়ায় মলম লাগিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছে।
চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মী শীলা দাস সে সময় ময়ূরপঙ্খি ঘাটের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি একটি পশু প্রেমী সংগঠনেরও সদস্য। শীলা দেবী জানান, মায়ের সঙ্গে খেলার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় বাচ্চা হনুমানটি। তাকে তুলে এনে শুশ্রূষা করা হয়। চিকিৎসকের সঙ্গে ফোনে কথা বলে ওষুধ কিনে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। আপাতত সুস্থ হলেও সম্পূর্ণ সুস্থ হতে সময় লাগবে বলেই জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলর জয়দেব অধিকারী। তিনি জানান, শহরে পশুদের ভর্তি রেখে চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা না থাকায় আপাতত শীলার বাড়িতেই থাকবে হনুমানটি। সুস্থ হয়ে উঠলে আবার ফিরিয়ে দেওয়া হবে তার মায়ের কাছে।
রাহী হালদার





