আরও পড়ুন: কুড়ি বছর পর জাতীয় ফুটবলের আসর মালদহে! উত্তেজনায় ফুটছে গোটা জেলা
এই পরিস্থিতিতে বংশপরম্পরায় জীবিকা এগিয়ে নিয়ে চলা এই শিল্পীরা মোটেও ভাল নেই। বলতে গেলে তাঁরা এক অসম লড়াই লড়ছেন। তবে শুধু প্লাস্টিক নয়, কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধিও এই শিল্পের এক অন্যতম বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। এখন আর আগের মতো বাড়ির আশে-পাশে বাঁশের ঝোপ দেখা যায় না। ফলে অনেক বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে বাঁশ। আবার সেগুলো মূলত বাড়িঘর তৈরি তা মেরামতির কাজে চলে যাচ্ছে। ফলে এই কুটির শিল্পীরা চাহিদা মতো বাঁশ পাচ্ছেন না। যা তাঁদের জীবিকার পথে আরও সমস্যা বাড়িয়েছে।
advertisement
শিল্পীরা জানান, হাতে গোনা কয়েকটি পরিবার আজও এই কাজে নিয়োজিত আছে। একটি বাঁশ থেকে ১০-১২ টি ডালি তৈরি হয়। সকল খরচ বাদ দিয়ে প্রতিটি পণ্য থেকে ১০-২০ টাকা করে লাভ থাকে। তবে বর্তমানে আগের মতো আর বেশি লাভ হয় না। নিজেদেরই বিভিন্ন হাটে গিয়ে ও গ্রামে গ্রামে ফেরি করে এসব পণ্য বিক্রি করতে হয়। অতি কষ্টে তাঁদের বাপ-দাদার এই পেশায় টিকে আছেন বলে জানান তিনি। আগামী প্রজন্ম আর এই পেশায় থাকবে কিনা তা নিয়েও সন্দিহান শিল্পীরা।
শুভজিৎ ঘোষ