বর্তমানে ঝুম্পার একটি দু বছরের সন্তান রয়েছে। বছর চারেক আগে ঝুম্পার সাথে পরিচয় হয় সাথীর। তারপর থেকে শুরু হয় একে অপরের বাড়িতে আনাগোনা। তৈরি হয় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। পরিবারের লোকজন কখনোই মেনে নেয়নি তাদের এই সম্পর্ককে। তাই তারা দুজন বাড়ির অমতেই পালিয়ে গিয়ে গত এক মাস আগে বিয়ে করেন ব্যারাকপুরে। দুজনেই থাকছিলেন ব্যারাকপুরে। নিজেদের বিয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পর জানতে পারেন তাদের বাড়ির লোক। বাড়ির লোক গিয়ে দুই মেয়েকে নিজেদের বাড়ি নিয়ে এসে তাদেরকে আলাদা করানোর চেষ্টা করেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ চায়ের দোকানে ফিরছে মাটির ভাঁড়! লক্ষ্মী লাভের আশায় কারিগররা
কিন্তু সাথী ও ঝুম্পা যেন একে অপরের জন্যই তৈরি। হাজারো বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে থাকতে চায় তারা এক সাথেই। এ বিষয়ে ঝুম্পার মা জানান, মেয়ে যদি অন্য একটি ছেলেকে বিয়ে করত তাহলেও তারা মেনে নিত কিন্তু মেয়ে হয়ে একটি মেয়েকে বিয়ে করায় সমাজে মুখ পুড়েছে তাদের। ঠিক একই মত রয়েছে ঝুম্পার বাবারও।ঝুম্পা এবং সাথী এ বিষয়ে জানায়, তাদের বাড়ি থেকে মেনে না নিলেও তারা আবারও বাইরের ভাড়া বাড়ি নিয়ে একসঙ্গে বসবাস করবে।
আরও পড়ুনঃ মেহুলির সোনা জয়, আনন্দের হাওয়া বৈদ্যবাটির বাড়িতে!
ঝুম্পা ইতিমধ্যেই কাজের সন্ধান করেছে। এই বিষয়ে অল ইন্ডিয়া উইমেন্স প্রগ্রেসিভ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সম্প্রীতি মুখার্জী জানান, এই সমস্যা শুধুমাত্র ওই মহিলা দুজনের নয় এইরকম সমস্যায় গোটা ভারতবর্ষে বহু মানুষ ভুগছেন। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় এইরকম সম্পর্ক মেনে না নেওয়ার জন্য ভিক্টিমদের আত্মহত্যা করতেও দেখা যায়। এক্ষেত্রে প্রশাসনের উচিত ওই মেয়ে দুটিকে সুরক্ষা প্রদান করা এবং তার সঙ্গে মানুষের মধ্যে সমকামীতা নিয়ে সম্মখ জ্ঞান তৈরি করা যাতে সমাজের মধ্যে কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতির শিকার তাদের হতে না হয়।
Rahi Haldar