TRENDING:

Hooghly: দুই মেয়ের কাণ্ড ঘিরে তুলকালাম হুগলিতে! তারপর!....

Last Updated:

সমকামিতা মানতে নারাজ পরিবার। তবুও একে অপরের জন্য মরণ বাঁচনের লড়াই করতে পিছুপা হয়নি ঝুম্পা ও সাথী। তাঁরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যতই বাধা নেমে আসুক হাত ছাড়বে না একে অপরের গোটা জীবন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#হুগলি : সমকামিতা মানতে নারাজ পরিবার। তবুও একে অপরের জন্য মরণ বাঁচনের লড়াই করতে পিছুপা হয়নি ঝুম্পা ও সাথী। তাঁরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যতই বাধা নেমে আসুক হাত ছাড়বে না একে অপরের গোটা জীবন। হাইকোর্টের সমকামী আইনের রায় অনুযায়ী, দুজন প্রাপ্তবয়স্ক সম লিঙ্গের মানুষ একইসঙ্গে বিবাহ এবং যৌন জীবন সম্পন্ন করতে পারে। এটি কোনওভাবে অপরাধ নয়। বরং এটি তাদের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। তবুও বর্তমান সমাজে সমকামিতাকে লোক চক্ষুর আড়ালে রাখার চেষ্টা করা হয়। শহরতলীর দিকে সমকামীতা কিছুটা প্রাধান্য পেলে ও গ্রামাঞ্চলের মানুষজন এখনও মেনে নিতে পারেনি এই বিষয়কে। কিন্তু তাতে কি ভালোবাসা আটকায় কোনদিনও? এমনই ঘটনা ঘটলো হুগলির ধনিয়াখালিতে। ঝুম্পা ঢালি ধনিয়াখালি সাঠিথান গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। অপরজন সাথী বাগের বাড়ি বলাগড়ের গুপ্তিপাড়ায়। দুজনের পরিচয় হয় ইন্টারনেটের একটি সামাজিক মাধ্যমে। তারপর থেকেই গড়ে ওঠে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক। তাদের পরিবারের লোক এই বিষয়ে জানতে পারলেই তড়িঘড়ি মেয়ের বিয়ের বন্দোবস্ত করে ফেলেন। ঝুম্পার বিয়ে ও দেওয়া হয় তার অমতে। যদিও সে বিয়ে টেকেনি বেশি দিন।
advertisement

বর্তমানে ঝুম্পার একটি দু বছরের সন্তান রয়েছে। বছর চারেক আগে ঝুম্পার সাথে পরিচয় হয় সাথীর। তারপর থেকে শুরু হয় একে অপরের বাড়িতে আনাগোনা। তৈরি হয় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। পরিবারের লোকজন কখনোই মেনে নেয়নি তাদের এই সম্পর্ককে। তাই তারা দুজন বাড়ির অমতেই পালিয়ে গিয়ে গত এক মাস আগে বিয়ে করেন ব্যারাকপুরে। দুজনেই থাকছিলেন ব্যারাকপুরে। নিজেদের বিয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পর জানতে পারেন তাদের বাড়ির লোক। বাড়ির লোক গিয়ে দুই মেয়েকে নিজেদের বাড়ি নিয়ে এসে তাদেরকে আলাদা করানোর চেষ্টা করেন।

advertisement

আরও পড়ুনঃ চায়ের দোকানে ফিরছে মাটির ভাঁড়! লক্ষ্মী লাভের আশায় কারিগররা

কিন্তু সাথী ও ঝুম্পা যেন একে অপরের জন্যই তৈরি। হাজারো বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে থাকতে চায় তারা এক সাথেই। এ বিষয়ে ঝুম্পার মা জানান, মেয়ে যদি অন্য একটি ছেলেকে বিয়ে করত তাহলেও তারা মেনে নিত কিন্তু মেয়ে হয়ে একটি মেয়েকে বিয়ে করায় সমাজে মুখ পুড়েছে তাদের। ঠিক একই মত রয়েছে ঝুম্পার বাবারও।ঝুম্পা এবং সাথী এ বিষয়ে জানায়, তাদের বাড়ি থেকে মেনে না নিলেও তারা আবারও বাইরের ভাড়া বাড়ি নিয়ে একসঙ্গে বসবাস করবে।

advertisement

View More

আরও পড়ুনঃ মেহুলির সোনা জয়, আনন্দের হাওয়া বৈদ্যবাটির বাড়িতে!

ঝুম্পা ইতিমধ্যেই কাজের সন্ধান করেছে। এই বিষয়ে অল ইন্ডিয়া উইমেন্স প্রগ্রেসিভ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সম্প্রীতি মুখার্জী জানান, এই সমস্যা শুধুমাত্র ওই মহিলা দুজনের নয় এইরকম সমস্যায় গোটা ভারতবর্ষে বহু মানুষ ভুগছেন। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় এইরকম সম্পর্ক মেনে না নেওয়ার জন্য ভিক্টিমদের আত্মহত্যা করতেও দেখা যায়। এক্ষেত্রে প্রশাসনের উচিত ওই মেয়ে দুটিকে সুরক্ষা প্রদান করা এবং তার সঙ্গে মানুষের মধ্যে সমকামীতা নিয়ে সম্মখ জ্ঞান তৈরি করা যাতে সমাজের মধ্যে কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতির শিকার তাদের হতে না হয়।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

Rahi Haldar

বাংলা খবর/ খবর/হুগলি/
Hooghly: দুই মেয়ের কাণ্ড ঘিরে তুলকালাম হুগলিতে! তারপর!....
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল