জানা গিয়েছে, আগমেশ্বরী হল নবদ্বীপে পূজিত কালী প্রতিমা। নবদ্বীপের বিখ্যাত পণ্ডিত তথা কালী সাধক কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ এই পুজো শুরু করেন। তারপর তিনি সাধনার জন্য ঘুরতে ঘুরতে তৎকালীন সময় রাধানগরে মহাশ্মশানে চলে আসেন। আর এখানেই প্রতিষ্ঠা করেন আনন্দময়ীকালী মন্দির।
আরও পড়ুন: ৬৫ ফুট লম্বা কালী প্রতিমা! শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে উৎসবের মেজাজ মন্দিরবাজারে
advertisement
উল্লেখ্য, কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ ছিলেন সপ্তদশক শতকের এক উচ্চ স্তরের তন্ত্রসাধক, যিনি নদীয়া জেলার নবদ্বীপ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তন্ত্রশাস্ত্রে ১৭০ টি গ্রন্থ থেকে নির্যাস গ্রহণ করে, বিখ্যাত তন্ত্রসার গ্রন্থটি রচনা করেন এবং সমগ্র দেশ এই গ্রন্থটির সমাদৃত। তার প্রকৃত নাম কৃষ্ণানন্দ ভট্টাচার্য। তিনি ছিলেন শ্রী শ্রী রাম প্রসাদ সেনের তন্ত্র গুরু। সাধক রামপ্রসাদ সেনের গুরুদেব কৃষ্ণানন্দ আগামবাগীশের সময় থেকেই তন্ত্র সাধনার মাধ্যমে নিষ্ঠা ভরে পুজো হয় এই আনন্দময়ী মা কালীর।
আরও পড়ুন: কুমোরটুলির প্রতিচ্ছবি হাওড়ার এই গ্রাম! প্রতিমার বৈচিত্র্য অবাক করবে
বিশেষ রীতিনীতি মেনে হয় পূজা। প্রথমে মন্দির সংলগ্ন মহাশ্মশানে শোল মাছকে পুড়িয়ে অথবা চিংড়ি মাছকে পুড়িয়ে পুজো শুরু হয়। তারপর মূল মন্দিরে এসে মায়ের আরাধনা হয়। কালী পুজো প্রায় ৪০০ বছর ধরে চলে আসছে। একই রীতি ও নিয়ম মেনে আগামবাগীশ পুজো করছেন আনন্দময়ী মা কালীর।
Suvojit Ghosh