করমণ্ডল ট্রেন দুর্ঘটনার ভয়ঙ্কর সেই স্মৃতিকে কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে ট্রেন পরিষেবা। তবে এখনও স্বাভাবিক হয়ে ওঠেনি দুর্ঘটনায় আহত মানুষদের জীবন। ভয়াবহ স্মৃতি গেঁথে রয়েছে তাঁদের মনে। আবার অনেকে এখনও পর্যন্ত খুঁজে পাচ্ছেন না নিজের পরিবারের লোকজনদের। এমনই ঘটনার সাক্ষী হুগলির হরিপালের এক পরিবার।
আরও পড়ুন: রেল দুর্ঘটনার পর দেহ এল পরিবারের কাছে, কিন্তু রক্তমাখা আধার দেখে চমকে উঠল সকলে!
advertisement
হরিপাল বিধানসভার অন্তর্গত অলিপুর কাশীপুর অঞ্চলের পানিশেওলা নিবাসী গোপাল হেমব্রমের বয়স ২০ বছর। করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন এই মর্মে ওড়িশার অস্থায়ী ক্যাম্পে নাম নথিভুক্ত আছে তাঁর। বালাসোর জেলা হাসপাতালেও নাম নথিভূক্ত আছে তাঁর। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনও খোঁজ নেই ছেলের। রাজ্যের কৃষি বিপনন মন্ত্রী বেচারাম মান্না মেদিনীপুরের ডি এম-এর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। কোনও রকম খোঁজ মিললেই যাতে তাঁকে বাড়ি ফেরানো যায়।
প্রসঙ্গত হরিপালের অলিপুর কাশিপুর অঞ্চলের পানিশেওলা নিবাসী মোট চারজন আদিবাসী সম্প্রদায়ের ছেলে কেরলে কাজ করতে যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনে গোপাল-সহ প্রত্যেককেই গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধারকারী দল স্থানীয় ক্যাম্পে নিয়ে যায়। গোপাল সেই সময় তাঁর নিজের নাম-সহ ঠিকানা বলেন। কিন্তু দুর্ঘটনার ৯ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ওড়িশার বালাসোর, অর্থাৎ ঘটনাস্থল থেকে শুরু করে হাসপাতলে খুঁজে বেড়াচ্ছেন মা ও স্ত্রী-সহ বাড়ির লোকেরা।
রাহী হালদার