হুগলির কোন্নগরের বাসিন্দা সন্দীপ মুখোপাধ্যায়, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে শিল্পকলার সঙ্গে যুক্ত তিনি। তাঁর হাতের তৈরি দুর্গা মণ্ডপ পাড়ি দিয়েছিল সুদূর ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রবাসী বাঙালিদের দুর্গা পুজোয়। বরাহনগরের দাদা ভাই সংঘ ক্লাবের জন্য দুর্গাপূজার তিনি তৈরি করেছিলেন সিলিকনের মাতৃ মূর্তি। যা সামনে থেকে দেখলে একেবারেই মনে হয় অবিকল মানুষের মতন। দুর্গাপুজো শেষ সবার পরেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল এই অভূতপূর্ব মাতৃ মূর্তি সংরক্ষণের জন্য। নতুন বছরের প্রথম মাসের শেষ সপ্তাহে সন্দীপ বাবুর কাছে খবর আছে সে মাত্র মূর্তি নিয়ে যাওয়া হবে বিমানবন্দরের টার্মিনালে যাতে সমস্ত দেশের মানুষ তা দেখতে পান।
advertisement
আরও পড়ুন - Hooghly News: চুরির আতঙ্কে ঘুম ছুটেছে খানাকুলের বাসিন্দাদের, তবুও উদাসীন পুলিশ প্রশাসন
বিমানবন্দরে সংরক্ষণের জন্য মাতৃ মূর্তি বেশ কিছু পরিবর্তন করতে হয়েছে। পরিবর্তন হয়েছে তার দৈর্ঘ্যের। খবর আসার পর থেকেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল জোর কদমে। নতুন করে সিলিকনের মূর্তির বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়। মূর্তিটিকে খুলে অ্যাসেম্বেল করে নিয়ে যাওয়া হবে বিমানবন্দরের। সেখানে গিয়ে পুনঃস্থাপন করে কাঁচের বাক্সের মধ্যে সংরক্ষণ করা হবে যাতে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মানুষ কলকাতায় পা রাখার সঙ্গেই কলকাতার সংস্কৃতির সাথে যাতে পরিচয় ঘটে। এই পরিচয়ের বার্তাই আবার নিজের সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে মানুষের কাছে পৌছে দিতে চান শিল্পী স্বয়ং।
আরও পড়ুন - Hooghly News|| ভারতীয় ধর্মীয় সংস্কৃতিকে চাক্ষুষ দেখতে বিদেশী পর্যটকদের ভিড় কোন্নগরে রাজরাজেশ্বরী মন্দিরে
এই বিষয়ে সন্দীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, এ এক অন্য দশমী। প্রত্যেক দশমীর পর শিল্পীদের মন ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে তবে এইবার তার মন আনন্দে ভারাক্রান্ত। দেবী দুর্গার সিলিকনের এই মূর্তি তিনি তৈরি করেছিলেন এক বিশেষ বার্তা নিয়ে। তার থিমের নাম ছিল পরিচয়। তার সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে তিনি পরিচয় করাতে চেয়েছিলেন সমাজের অন্ধকারের মধ্যে ডুবে থাকা নারীদের। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যে সমস্ত নারীরা এখনো অবহেলিত তাদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্যই তার এই সৃষ্টি । তিনি আশাবাদী বিমানবন্দরে যখন প্রত্যেক মানুষ এই মাতৃ মূর্তি দেখবেন তাদের কাছে সন্দীপবাবুর এই বার্তা পৌঁছে যাবে।
Rahi Halder