স্থানীয় সূত্রে খবর, চুঁচুড়া বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় একটি রেস্তোরাঁর পাশে বারো কাঠা জমি নিয়ে অশান্তি দীর্ঘদিনের মামা ও ভাগ্নে দুই পরিবারের মধ্যে। জমির অংশিদার পাঁচজন। সম্পত্তি নিয়ে মামলা মোকদ্দমাও হয়েছে। বছর চুয়াত্তরের মুনিকেশ শীল সেই সম্পত্তির একজন অংশিদার ছিলেন। বৃ্দ্ধের বোন নীলিমা সিংহ ভাগ্না সৌমদেব সিংহ ওরফে তরুনেরও অংশ রয়েছে। এই দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘ দিনের অশান্তি।
advertisement
আরও পড়ুন: আজ ‘ট্রেলার’ দেখালাম, ‘৩ মাস’ পরে…, নন্দীগ্রামের মাটিতে শুভেন্দু-নিশানায় হুঙ্কার অভিষেকের!
মুনিকেশ বাবু পরিবার নিয়ে রামকৃষ্ণ পল্লীতে থাকতেন। ঘটনার দিন বেলার দিকে চুঁচুড়া বাস স্ট্যান্ডের ওই সম্পত্তি যেখানে সাইকেল গ্যারেজ, কয়েকটি দোকান ঘর রয়েছে, সেখানে যান বৃ্দ্ধ। মামা ভাগ্নের মধ্যে নতুন করে বচসা বাধে। আর সেখানেই অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধের। পরিবারের অভিযোগ, বৃদ্ধ মুনীকেশ শীল একজন হার্টের রোগী ছিলেন। তার বুকে পেসমেকার বসানো হয়েছিল।
কিন্তু দীর্ঘদিন সৌম্যদীপ তাদের বাড়িতে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। সেই কারণেই তার সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিল বৃদ্ধ। তখনই বচসার মধ্যে বৃদ্ধের বুকে ধাক্কা মারে তার ভাগ্নে যার ফলে বুকে লাগানো পেসমেকার বন্ধ হয়ে যায় তাতে মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধের।
বৃ্দ্ধের ছেলে আদিত্যনজরুল শীল বৃ্দ্ধের বন্ধু আত্মীয়দের অভিযোগ, ভাগ্নে হুমকি দিয়েছে এর আগে একাধিকবার। এদিন বচসার সময় জেনে বুঝে ধাক্কা মারে বুকে। যার ফলে মৃত্যু হয় তার বাবার। ঘটনার চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ জানিয়েছে মৃতের পরিবার। ইমামবাড়া হাসপাতালে মৃতদেহের ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারন স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রাহী হালদার