আরও পড়ুন: পিৎজা, পাস্তা, চাউমিন, ডোনাট খাচ্ছেন প্রভু জগন্নাথ! কোথায় দেখা গেল এই অবাক দৃশ্য
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে এলাকার মানুষ দেখতে পায় একটা ছোট টেম্পোয় করে বৈদ্যবাটি বনমালী ইনস্টিটিউট স্কুলের পুরানো জিনিসপত্রের সঙ্গে সবুজ সাথীর সাইকেলও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে ওই গাড়িটি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, সাড়ে সাত হাজার টাকার বিনিময়ে সবুজ সাথীর তিনটি সাইকেল বিক্রি করে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। সঙ্গে পুরনো বই খাতাও বিক্রি করা হয়। উত্তেজনায় গাড়ির চালককে মারধরও করে এলাকাবাসী।
advertisement
যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন হুগলির বৈদ্যবাটি বনমালী ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক অমরনাথ ঘোষাল। তিনি বলেন, স্কুলের কিছু পুরোনো লোহা ভাঙা, পাইপ, কাঁচ, পুরোনো বই বিক্রি করা হয়েছে। যাকে বিক্রি করা হয়েছে সে না বুঝেই গোডাউন থেকে সবুজ সাথীর সাইকেল গাড়িতে তুলে নেয়। এলাকাবাসী দেখে গাড়ি আটকায়। টাকা নিয়ে সাইকেল বিক্রি করার অভিযোগ সত্যি নয়। এদিকে প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য মিথ্যা বলে দাবি করেছেন এইসব ভাঙাচোরা জিনিসের ক্রেতা সুজিত পাসোয়ান। তিনি বলেন, স্কুলের বাতিল জিনিসপত্রের সঙ্গে সাড়ে তিন হাজার টাকায় প্রধান শিক্ষক সবুজ সাথীর তিনটি সাইকেলও তাঁকে বিক্রি করেন। স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। তারা প্রধান শিক্ষক ও স্কুলের এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মীকে আটক করে।
রাহী হালদার