কিন্তু জানেন কি চন্দননগরের আলোর জনক কাকে বলা হয়। তিনি আর কেউ নন তিনি হলেন শ্রীধর দাস। যার হাতে তৈরি আলো গোটা দেশ জুড়ে শুধু নয় বিদেশেও ছড়িয়ে রয়েছে। হাওড়া ব্রিজের আলো থেকে শুরু করে আইফেল টাওয়ার পর্যন্ত ছড়িয়ে তার হাতে তৈরি আলো। মস্কো, ব্রিটেন, আমেরিকা ইংল্যান্ড, ইতালি পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে চন্দননগরের শ্রীধর দাসের হাতের শিল্প।
advertisement
এই বিষয়ে শ্রীধর বাবু জানান, ছোটবেলায় স্কুলে পড়ার সময় থেকেই আলো তৈরীর প্রতি তার বিশেষ ঝোঁকছিল। চন্দননগরে প্রথম তিনি নিয়ে আসেন টর্চের ল্যাম্প দিয়ে তৈরি আলো। সেই সময় প্রথমবার মানুষ দেখেছিল কলেজ স্কয়ারে দুর্গাপূজোয় জলের নিচে আলো জ্বলছে। শ্রীধর বাবু বলেন, ১৯৫৪ থেকে তিনি আলো তৈরির সঙ্গে যুক্ত। আলোর তৈরি গাছ যা চন্দননগরে ঐতিহ্য তাও প্রথমবার তৈরি করেন তিনি।
শ্রীধর বাবুর বাড়িতে প্রবেশ করলে তার ঘরে দেওয়াল ভর্তি দেশ-বিদেশের খ্যাতি। বর্তমানে বার্ধক্য জনিত কারণে নিজের হাতে করে আলো গরার কাজ বন্ধ রেখেছেন। কিন্তু এখনও ডাক পড়ে তার পরামর্শ নেওয়ার জন্য। শেষ বারে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর আলো তৈরি করার জন্য ডাক পড়েছিল তার। বর্তমান সময় যত আলো দেখতে পাওয়া যায় সেগুলি সবই চায়না আলো শ্রীধর বাবু যা তৈরি করেছেন সে সবই তার নিজের হাতের। কখনো ভাঙা টিউবলাইট দিয়ে নতুন করে আলো কখনো বা বাঁশের কঞ্চি কেটে তার মধ্যে টর্চের বাল্ব লাগিয়ে আলোর ডিজাইন। চন্দননগর আলোর শহর যতবারই বলা হবে ততবারই চন্দননগরের আলোর জন্মদাতা শ্রীধর দাসের নাম উঠে আসবে।
রাহী হালদার