এই রকম চলতে থাকলে আত্মহত্যা করা ছাড়া উপায় থাকবে না বলে দাবি করছেন চাষীদের।স্থানীয় এক চাষী জানান, বর্তমানে যে হারে সারের দাম বেড়েছে তাতে চাষের খরচ বেড়েছে অনেক বেশি। আগে এক বিঘা জমি শসা চাষ করতে খরচ হতো দশ হাজার টাকা। এখন তার খরচ বিঘা প্রতি শসা চাষে কুড়ি হাজার টাকা। বর্তমানে যে দামে শসা বিক্রি হচ্ছে তাতে অনেক টাকাই ক্ষতি হবে বলে জানাচ্ছেন চাষীরা। বলাগড়ের আটটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় শসা চাষ হয়। এক্তারপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মাজদিয়া অঞ্চলের শসা চাষীরা ন্যায্য দাম না পেয়ে প্রতিবাদ জানান রাস্তায় শসা ছড়িয়ে গরুকে খাইয়ে।
advertisement
আরও পড়ুন: সিকিমে ধসে আটকে ৫৫০ জন পর্যটক! ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যাচ্ছে! উদ্ধারে সেনাবাহিনী!
বলাগড় ব্লকের এডিও ডঃ সোমনাথ পাল জানান, অতিরিক্ত ফলন এর ফলে যেমন দাম কম পাচ্ছে চাষিরা কেমন অধিক ফলনের ভালো দিকও রয়েছে। উৎপাদন বা ফলন ২/৩ গুণ বেড়ে যাওয়ায় আপাতত কেজি দরে দাম কম মনে হলেও উৎপাদন যেহেতু ২ থেকে ৩ গুন বেশী হয়েছে। সেহেতু কম দাম হলেও আগে উৎপাদিত শসার জন্য হেক্টর প্রতি যে দাম হতো এখন হেক্টর প্রতি ৩ গুন উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ৩ গুন দামই পাবেন। আগে যে জমিতে ৫০ কুইন্টাল শসা পাওয়া যেত। এবছর সেই একই জমিতে ১৫০ কুইন্টাল শসা পাওয়া গেছে। ফলে বেশী দামের ৫০ কুইন্টাল এর বিক্রয়মূল্য।,আর কম দামের ১৫০ কুইন্টাল এর বিক্রয়মূল্য প্রায় সমান,সমানই হবে বলে মনে করছে কৃষি দফতর।
রাহী হালদার