স্থানীয় সূত্রে খবর, পান্ডুয়ার সারদাপল্লী এলাকায় বাসিন্দা মনোরঞ্জন সাহা। তার আড়াই মাসের শিশু পুত্রকে নিয়ে প্রতিদিনকার মতো এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে বাইকে করে ঘোড়াতে নিয়ে যান মনোরঞ্জন সাহার পরিচিত যুবক সুমন।সুমনেরকথায় , সেই সময় মুখে রুমাল বাঁধা অবস্থায় অপরিচিত দুই দুষ্কৃতী এসে সুমনকে মারধর করে শিশু টিকে নিয়ে বাইকে করে চম্পট দেয় অপহরণকারীরা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই হতচকিত হয়ে পড়েন সুমন।
advertisement
আরও পড়ুন: কবিগুরু নিজে খেয়ে নামনকরণ করেছিলেন, জানেন কী এই সন্দেশের নাম!
এরপরে তিনি পুরো ঘটনার কথা মনোরঞ্জন বাবুর পরিবারকে জানান। মনোরঞ্জনের স্ত্রী তৎক্ষণাৎ পান্ডুয়া থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন। তড়িঘড়ি পান্ডুয়া থানার পুলিশ চলে আসে ব্যবসায়িক মনোরঞ্জন বাবুর বাড়ি সংলগ্ন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সেন্টার এর অফিসে। সেখানে এসে সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিপুল ব্যয়ে তৈরি বিনোদন পার্ক, এক বছরেই যা অবস্থা, দেখলে ভিড়মি খেতে বাধ্য হবেন
ঠিক দুপুর দুটো ২ টো নাগাদ অপহরণকারী ব্যক্তি শিশুর বাবাকে লক্ষ্যাধিক টাকার মুক্তি পন ফোন করে। পুলিশ সেই মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে ও বিভিন্ন জায়গায় নাকা তল্লাশি শুরু করে। যদিও শেষমেষ শিশুর বাড়ি থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অপহরণকারীরা শিশুটিকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে সেখান থেকে শিশুকে উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দেয়। দীর্ঘক্ষণ পর শিশুকে পেয়ে বুকে আঁকড়ে ধরে মা । স্বস্তি ফেরে পরিবারে।
স্থানীয় বাসিন্দা শিব শংকর সাহা বলেন, “দিনে দুপুরে এভাবে অপহরনের ঘটনায় আগে এই এলাকায় শুনিনি। শোনার পর আমরা সকলেই অবাক হয়ে যাই। শিশুটিকে উদ্ধার হয়েছে এটাই ভাল।” হুগলি গ্রামীন পুলিশ সুপার আমনদীপ জানিয়েছেন, অপহরণের পরেই শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে, অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।কী কারনে অপহরণ সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রাহী হালদার