বলাগড়ের সবুজ দ্বীপ বালি হাঁসদের আস্তানা। কিন্তু তারা বেশিরভাগ সময় গঙ্গার চড়েই থাকে। লোকালয়ের মধ্যে এর আগে কখনোই হাজার হাজারে বালি হাঁস আসতে দেখেননি কেউই। হাঁসগুলি জলাশয়ের মধ্যে ছায়া জায়গায় চলে আসছিল। এমনকি কিছু কিছু বালি হাঁস রাস্তায় অবধি চলে এসেছিল। গ্রামবাসীরা থলিতে ভর্তি করে সেগুলিকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। অনেকে আবার সেগুলিকে বিক্রি করতে শুরু করেন। অনেকে তার মাংসের লোভে সেগুলিকে কেটে খেতেও শুরু করে। স্থানীয় এক পশুপ্রেমী সংগঠন খবরটি জানতে পারলে তারা খবর দেয় বনদফতরকে। বনদফতর ও স্থানীয় পশুপ্রেমী সংগঠনগুলির যৌথ উদ্যোগে বালি হাঁসগুলিকে উদ্ধার কাজে নেমেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন - ‘চেনা’ ডোনা-র অন্য রূপ, সুপারহিট বলিউড গানে দারুণ ছন্দে নাচ, ভাইরাল ভিডিও
বনদফতরের এক আধিকারিক জানান, অজানা কোনও এক অসুখের কারণে বালি হাঁসগুলি জলাশয়ে চলে এসেছিল। তাদের প্রত্যেকের ডানা গুলিতে ক্ষত রয়েছে। কয়েকটি পাখিকে বেলগাছিয়া পশু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে চিকিৎসা এবং অসুস্থতার কারণ জানার জন্য। এছাড়া জলাশয়ের জল সহ সংশ্লিষ্ট আরও বেশ কিছু জিনিসে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য। কি থেকে পাখি গুলির মধ্যে রোগ ছড়াচ্ছে তা জানা সম্ভব হলে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। তিনি আরও জানান, বেশ কিছু সংখ্যক পাখিকে গ্রামবাসীরা মেরে ফেলেছেন। প্রচুর সংখ্যক পাখি জীবিত অবস্থায় গ্রামবাসীদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে সমস্ত পাখি গুলিকে কয়েকটি জলাশয়ে রাখা হয়েছে। রোগের কারণ জানা গেলে দ্রুত তাদের চিকিৎসা করা হবে এবং তাদেরকে আবারো স্বাভাবিক বন্যজীবনে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
Rahi Halder