রাজ্যপাল স্বয়ং ঘটনারাস্তলে সরজমিনে পরিদর্শন করেন। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে রেলের স্টেশন মাস্টার তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে নতুন করে রাজনৈতিক তরজা। গোটা ঘটনার দায় কার সেই নিয়ে শুরু হয়েছে একে অপরের প্রতি ‘ব্লেম গেম।’
আরও পড়ুন - সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে তোড়জোড়, আব্দুল লতিফ নিয়ে বড় পদক্ষেপ CBI-এর
advertisement
আরও পড়ুন - নেই মাস্ক, বুস্টারেও অনীহা! গত ২৪ ঘণ্টায় এক ধাক্কায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত ৪ হাজার
এই বিষয়ে বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ দত্ত বলেন, পুরো ঘটনার জন্য দায়ী তৃনমূল। তৃণমূলের আশ্রিত গুন্ডারায় পুরো ঘটনা ঘটিয়েছে। বিজেপির বিধায়কের মাথায় ইট মারা থেকে শুরু করে সমস্ত সম্প্রদায়িক ক্রিয়াকলাপ তৃণমূলের হাত ধরেই হয়েছে। যেহেতু তৃণমূলের ভোট বাক্সে টান পড়েছে তাই এই সমস্ত কাজ করে নিজেদের ভোট বাক্স গুছোতে চাইছে তৃণমূল।
যদিও এর প্রত্যুত্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা প্রেসিডেন্ট দিলীপ যাদব তিনি বলেন, বিজেপির লক্ষ্য শুধুমাত্র বিশৃঙ্খলা করা। গোটা রাজ্যজুড়ে সুযোগ পেলেই বিজেপি বিশৃঙ্খলা তৈরি করার চেষ্টা করছে। বিশৃঙ্খলা তৈরি করেই মানুষজনকে বিব্রত করতে চায় বিজেপি। তবে তা করে কোনও লাভ নেই কারণ ২০২১ সালে একই রকম ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করেছিল বিজেপি তারপরেও জনগণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে সমর্থন করেছে। বিজেপি যত এইরকম কাণ্ড করবে তত মানুষ আরও তাদের থেকে দূরে সরবে। কারণ চিরকাল বাংলার মানুষ শান্তির পক্ষে।
এই বিষয়ে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে দেবব্রত ঘোষ তিনি জানান, রাজ্য সরকার যে পাঁকের মধ্যে ঢুকে রয়েছেন তার থেকে বাঁচার জন্য এই সমস্ত সাম্প্রদায়িক শক্তিদের সাহায্য নিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। সরকার যদি না চায় তাহলে এই বিশৃঙ্খলতা কখনোই তৈরি হয় না। কোনওরকম গুজবে কান না দিয়ে যারা গুজব ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করার প্রচেষ্টা করছে তাদের একসঙ্গে মিলে তাদেরকে প্রতিহত করে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।
রাহী হালদার