আরও পড়ুন: পুজোর মুখে ডুবে গিয়েছে গোটা এলাকা! এই ছবি ভয় ধরাবে মনে
বন্যা পরিস্থিতির ফলে খানাকুলের এই এলাকায় ৫০ থেকে ৬০টি পরিবার ভয়ঙ্কর বিপদে পড়েছে। বাড়ি জলের তলায় চলে গেছে। গ্রামবাসীরা বাড়ি-ঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। যেভাবে নদীতে জল বাড়ছে তাতে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
advertisement
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টি ও জলাধারগুলি থেকে ছাড়া জলে ফুঁসছে মুন্ডেশ্বরী। জল বাড়ছে দামোদর, দ্বারকেশ্বর, রূপনারায়ণ নদীতেও। এই পরিস্থিতিতে পুজোর আগেই বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কায় আরামবাগ মহকুমার মানুষ। খানাকুলের রামমোহন-২ পঞ্চায়েত, চিংড়া গ্রাম পঞ্চায়েত, মারোখানা গ্রাম পঞ্চায়েত, সুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত সহ একাধিক এলাকার বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হতে শুরু করেছে। নদী তীরবর্তী এলাকায় থাকা বেশ কয়েকটি পরিবারকে ইতিমধ্যেই সরিয়ে অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে রাখা হয়েছে। জল যে ভাবে বাড়ছে তাতে ঝুঁকি নেয়নি প্রশাসন।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেওয়ায় চাষেরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। বহু ফসল ইতিমধ্যেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে খানাকুল সহ আরামবাগ মহকুমাজুড়ে পুজোর আগে আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে।
শুভজিৎ ঘোষ