ঘটনার সময় প্রাণ বাঁচাতে বাকীরা কোনওক্রমে বাইরে বেরিয়ে আসতে পারলেও প্রৌঢ় কানন গায়েন বাইরে বার হতে পারেননি। অগ্নিদগ্ধ হয়েই মৃত্যু হয় তাঁর। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে খানাকুল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছলেও রাস্তার অভাবে ঢুকতে পারল না দমকল। এদিন দমকল রাতভর লড়াই চালিয়ে ভোর ৪টে নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও ঠিক কী ভাবে আগুন লাগল তা স্পষ্ট নয়।
advertisement
এই বিষয়ে তবে স্থানীয়দের দাবি, মৃত বৃদ্ধার বাড়িতে কোনও হ্যারিকেন জাতীয় জিনিষ থেকেই আগুন প্রথমে লাগে। বৃদ্ধা না বুঝতে পারার কারণেই গোটা বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পরে বলে মনে করা হচ্ছে। হঠাৎই নজরে আসতে এলাকার মানুষই ছুটে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন : ‘আমার কেউ নেই, আমাকে বাঁচান…’! মহিলার ফেসবুক Live ভাইরাল! সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবাররা জানিয়েছে পাশের বাড়ির আগুন লাগার পরেই আমাদের সকলের বাড়িতেই আগুন লাগে। প্রত্যেকটা বাড়িতে আগুন ভয়ানক আকার নেয়। বাড়িতে থাকা সমস্ত কিছু জিনিস পুড়ে ছাই হয়ে যায় মুহূর্তের মধ্যে। প্রচুর টাকা ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় কী করবেন তা নিয়ে ভেবে কুল পাচ্ছেন না পরিবারগুলি। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে খানাকুল বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ এদিন সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের সঙ্গে দেখা করে পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন।
শুভজিৎ ঘোষ