আরও পড়ুন: নদীতে জল বাড়তেই ভেঙে পড়ল বাঁশের সাঁকো, স্কুলে যেতে পারছে না ছেলেমেয়েরা
হুগলি জেলাজুড়ে এক লক্ষ হেক্টরের অধিক জমিতে আমন ধান চাষ হয় প্রতি বছর। বর্ষার ভরা মরশুমে আমন ধানে ওষুধ দিতে সমস্যায় পড়েন কৃষকরা। ধান গাছ বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে বাড়তে থাকে সাপের উপদ্রব। আর তাই এবার ড্রোনের মাধ্যমিক কীটনাশক স্প্রে করে সহজেই গোটা কাজটা সেরে ফেলবেন এখানকার কৃষকরা। এই লক্ষ্যে এগিয়ে এসেছে পান্ডুয়া কৃষি বিপ্লব অ্যাগ্রো প্রডিউসার কোম্পানি লিমিটেড।
advertisement
ড্রোন ব্যবহারের কী কী সুবিধা আছে? কীভাবেই বা ব্যবহার করবেন কৃষকরা?
এক একর জমিতে ড্রোনের মাধ্যমে কীটনাশক স্প্রে করতে খরচ পড়বে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। ড্রোন কিনতে রাজ্য সরকার ভর্তুকি দেবে। কৃষকের জন্য তিন লক্ষ টাকা ভর্তুকি রাখা হয়েছে। এসপিও-এর অধীনে যদি কোনও ফার্মার ইন্টারেস্টটেড গ্রুপ এই ড্রোন কিনতে চায় তাদের জন্যও রয়েছে ৮০ শতাংশ ভর্তুকি, সঙ্গে রয়েছে লোনের সুবিধা। এগ্রিকালচার ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফান্ডের অধীনে চাষিরা লোন নিলে সেখানে অনেক কম সুদে ঋণ পাওয়ার ব্যাবস্থা আছে।
কৃষিকাজে প্রযুক্তির এমন অভাবনীয় ব্যবহার প্রসঙ্গে স্থানীয় চাষি স্বপন ঘোষ বলেন, ড্রোনের মাধ্যমে জমিতে স্প্রে করলে তা অল্প সময়ের মধ্যে কয়েক বিঘা জমিতে স্প্রে করা যাবে। এর ফলে খরচ যেমন কম হবে তেমনই চাষে শ্রমিক কম লাগবে। তবে চাইলেই যেন পাওয়া যায় এমন ব্যবস্থাও করতে হবে। ধানের থোর আসা বা ফলানোর আগে কীটনাশক দিলে ভালো হয়। তারপর দিলে হাওয়ার বেগে ধান ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর যেভাবে স্প্রে করা হচ্ছে তাতে গাছ সোজা থাকলে তা ধানের গোড়া পর্যন্ত পৌঁছে যাবে ফলে সুবিধা হবে চাষির।
পান্ডুয়া কৃষি বিপ্লব এগ্রিকালচার দফতরের ডিরেক্টর আব্দুল নাসিম মণ্ডল বলেন, কৃষক নিজের হাতে কীটনাশক ছড়াতে গিয়ে অনেক সময় সাপের ছোবল খায়। অনেকে এইভাবে মারাও গিয়েছে। ড্রোনের মাধ্যমে চাষ করলে বিপদ থেকে অনেকটা রক্ষা পাওয়া যাবে। ১৫ লিটার ট্যাঙ্কের মাধ্যমে প্রচলিত পদ্ধতিতে ৫ কাঠা জমিতে স্প্রে করা যায়। সেখানে ড্রোনের মাধ্যমে মাত্র ৫ লিটার জলের সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে এক বিঘা জমি স্প্রে করা যাবে। হুগলি জেলা কৃষি উপ-অধিকর্তা প্রিয়লাল মৃধা জানান, এ বছর কৃষকদের সুবিধার জন্য ভর্তুকিতে ড্রোন দেবে সরকার। আমরাও চাই কৃষকরা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করুক। এতে সবরকম সুবিধা হবে।
রাহী হালদার