স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির এই প্রাথমিক স্কুলটি এক সময় মাটির ছিল। ধীরে ধীরে তা ভেঙে পড়ে। নতুন স্কুল বিল্ডিং তৈরির জন্য বারবার প্রশাসনিক স্তরে আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি। এবং তারপর থেকেই স্কুল বিল্ডিং করার জন্য বারবার প্রশাসনকে লিখিত আবেদন করেও কোনও কাজ হয়নি। স্কুলের পঠন-পাঠন বজায় রাখতে গ্রামের মানুষ একপ্রকার বাধ্য হয়ে ষোলনাতে অস্থায়ীভাবে ক্লাস করানোর অনুমতি দেয়। পরবর্তীতে সেই ষোলনার জমিতেই গড়ে ওঠে স্কুল বিল্ডিং। এরপর থেকেই শুরু হয়েছে সমস্যা।
advertisement
আরও পড়ুন: ফের চাকরি প্রতারণায় নাম জড়ালো হুগলির, পুরপ্রধানের ভাগ্নের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ
পড়ুয়াদের অভিভাবক থেকে শুরু করে গ্রামবাসী, পড়াশোনার পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে পাশের একটি মাঠের ফাঁকা জায়গায় উঠে যাক স্কুল বিল্ডিংটি। স্কুল কর্তৃপক্ষেরও তাই মত। এই বিষয়ে বারবার প্রশাসনের নানান স্তরে আবেদনও জানানো হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রেও কোনরকম সাড়া আসেনি বলে জানা গিয়েছে।
নবাসন বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবাশিস মাপুই জানান, গ্রামের মানুষের একত্রিত হওয়ার জায়গাতেই চলছে পড়াশোনা। ফলে যে কোনও পুজো পার্বন বা উৎসব অনুষ্ঠানে পঠন-পাঠানে ব্যাঘাত ঘটে। তিনি বলেন, পাশের একটি খেলার মাঠে স্কুলকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। এই বিষয়ে প্রশাসনকেও জানিয়েছি। কিন্তু ব্যাপারটাতে গা করছে না কেউ। বিভিন্ন দফতরে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কোনও কাজ হচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, আর কতদিন ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ক্ষতি হবে!
শুভজিৎ ঘোষ





