বিহারের পুর্নিয়া জেলায় জমিদারি ছিল সাধুদের। সাজি মাটির ব্যবসা ছিল তাদের। হুগলির সপ্তগ্রাম বন্দরে সেই ব্যনিজ্য করতে আসে সাধুরা। অনেক অর্থ উপার্জন করে বাঁশবেড়িয়া অঞ্চলে জমিদারী পত্তন করে। মগড়া পোলবা অঞ্চলে এখনো তাদের চাষের জমি রয়েছে। সেই বংশের বৈদ্যনাথ সাধু দুর্গাপুজোর সূচনা করেছিলেন বলে শোনা যায়। সাধু পদবি হলেও সাজি মাটি বিক্রির সুবাদে এই বাড়ি সাজি বাড়ি নামে পরিচিত হয়।
advertisement
আরও পড়ুন – Weather Update: নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণাবর্ত, বহাল থাকছে দক্ষিণবঙ্গে ঝড় বৃষ্টি , রইল সম্পূর্ণ আপডেট
সাজি বাড়ি এক সময় জমিদার বাড়ি ছিল। সেই বৈঠক খানা, খাজাঞ্চি খানা, অন্দরমহল, নাট মন্দির সবই আছে। তবে কালের নিয়মে কিছু নষ্ট হয়েছে কিছু বদল হয়েছে। জমির ধান উঠোনের গোলায় ভরে রাখা হত। সেই ধানের গোলা আজও রয়েছে।বাড়িতে ঢোকার সদর দরজা অনেকটা বড়।খিলেনগুলো অনেকটাই লম্বা। কারন হাতির পিঠে করে জমিদারি দেখতে যেতেন সাধুরা।
এবার ২৯৪ বছরে পড়ল সাজির বাড়ির দুর্গা পুজো। মহিষমর্দিনী রূপে সাজি বাড়ির দালানে পূজিতা হন দেবী দুর্গা। দুর্গার সন্তান কার্তিক- গণেশ -লক্ষ্মী-সরস্বতী এখানে অনুপস্থিত। এক চালার প্রতিমা বাড়িতেই তৈরি হয়। রথের দিন হয় কাঠামো পুজো। চতুর্থীর দিন হয় বোধন। পুজো হয় শাক্ত মতে। বলি প্রথা নেই। একমাত্র ফল কেনা হয় বাকি পুজোর ভোগ থেকে নৈবেদ্য সব বাড়িতেই তৈরি করেন মহিলারা। সারা বছর যে যার মত থাকলেও পুজোর চারটে দিন একান্নবর্তী হয় পরিবার। যাঁরা বাইরে থাকেন তাঁরা ঘরে ফেরেন।এক সঙ্গে মজা আনন্দ খাওয়াদাওয়া চলে। বিসর্জনের দিন বিষাদের সুর বাজে।বাড়ির পিছনে গঙ্গার ঘাটে হয় প্রতিমা নিরঞ্জন। আবার অপেক্ষা পরের বছরের।
Rahi Halder