TRENDING:

Durga Puja 2023: ২৯৪ বছর ধরে বাঁশবেড়িয়ার সাজি বাড়িতে দেবী দুর্গা আসেন একাই

Last Updated:

Durga Puja 2023: পুজোর দিনগুলিতে একান্নবর্তী হন বাঁশবেড়িয়া সাজি বাড়ির সদস্যরা, নিষ্ঠা মেনে বছর বছর হয়ে চলে পারিবারিক দুর্গা পুজো।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
হুগলি: আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজোর। একদিকে হওয়ায় উড়ছে কাশফুল অন্যদিকে বাতাসে শিউলি ফুলের গন্ধ। টুকরো টুকরো মেঘের মধ্যে দেবীর আগমনের বার্তা যেন ভেসে বেড়াচ্ছে আকাশে। দুর্গাপূজার সময় মর্তে দেবী দুর্গা তার ছেলে মেয়ে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ সকলকে নিয়ে আসলেও হুগলির বাঁশবেড়িয়ার সাজি বাড়িতে দেবী দুর্গা আসেন একাই। পুজোর দিনগুলিতে একান্নবর্তী হন বাঁশবেড়িয়া সাজি বাড়ির সদস্যরা, নিষ্ঠা মেনে বছর বছর হয়ে চলে পারিবারিক দুর্গা পুজো।
advertisement

বিহারের পুর্নিয়া জেলায় জমিদারি ছিল সাধুদের। সাজি মাটির ব্যবসা ছিল তাদের। হুগলির সপ্তগ্রাম বন্দরে সেই ব্যনিজ্য করতে আসে সাধুরা। অনেক অর্থ উপার্জন করে বাঁশবেড়িয়া অঞ্চলে জমিদারী পত্তন করে। মগড়া পোলবা অঞ্চলে এখনো তাদের চাষের জমি রয়েছে। সেই বংশের বৈদ্যনাথ সাধু দুর্গাপুজোর সূচনা করেছিলেন বলে শোনা যায়। সাধু পদবি হলেও সাজি মাটি বিক্রির সুবাদে এই বাড়ি সাজি বাড়ি নামে পরিচিত হয়।

advertisement

আরও পড়ুন –  Weather Update: নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণাবর্ত, বহাল থাকছে দক্ষিণবঙ্গে ঝড় বৃষ্টি , রইল সম্পূর্ণ আপডেট

সাজি বাড়ি এক সময় জমিদার বাড়ি ছিল। সেই বৈঠক খানা, খাজাঞ্চি খানা, অন্দরমহল, নাট মন্দির সবই আছে। তবে কালের নিয়মে কিছু নষ্ট হয়েছে কিছু বদল হয়েছে। জমির ধান উঠোনের গোলায় ভরে রাখা হত। সেই ধানের গোলা আজও রয়েছে।বাড়িতে ঢোকার সদর দরজা অনেকটা বড়।খিলেনগুলো অনেকটাই লম্বা। কারন হাতির পিঠে করে জমিদারি দেখতে যেতেন সাধুরা।

advertisement

View More

এবার ২৯৪ বছরে পড়ল সাজির বাড়ির দুর্গা পুজো। মহিষমর্দিনী রূপে সাজি বাড়ির দালানে পূজিতা হন দেবী দুর্গা। দুর্গার সন্তান কার্তিক- গণেশ -লক্ষ্মী-সরস্বতী এখানে অনুপস্থিত। এক চালার প্রতিমা বাড়িতেই তৈরি হয়। রথের দিন হয় কাঠামো পুজো। চতুর্থীর দিন হয় বোধন। পুজো হয় শাক্ত মতে। বলি প্রথা নেই। একমাত্র ফল কেনা হয় বাকি পুজোর ভোগ থেকে নৈবেদ্য সব বাড়িতেই তৈরি করেন মহিলারা। সারা বছর যে যার মত থাকলেও পুজোর চারটে দিন একান্নবর্তী হয় পরিবার। যাঁরা বাইরে থাকেন তাঁরা ঘরে ফেরেন।এক সঙ্গে মজা আনন্দ খাওয়াদাওয়া চলে। বিসর্জনের দিন বিষাদের সুর বাজে।বাড়ির পিছনে গঙ্গার ঘাটে হয় প্রতিমা নিরঞ্জন। আবার অপেক্ষা পরের বছরের।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
দেখলে মনে হবে লাড্ডু ,মোদক কিংবা রসমালাই, কিন্তু খাওয়া যাবে না! এতো অন্য জিনিস
আরও দেখুন

Rahi Halder

বাংলা খবর/ খবর/হুগলি/
Durga Puja 2023: ২৯৪ বছর ধরে বাঁশবেড়িয়ার সাজি বাড়িতে দেবী দুর্গা আসেন একাই
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল